

বিনোদন প্রতিবেদক: সম্প্রতি, বুধবার রাতে নাটকে শুটিং করতে গিয়ে অভিনেতা রিমন রেন সূর্য গুরুতর আহত হয়েছেন। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি অভিনেতা রিমন রেন সূর্য সোশাল মিডিয়াই নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন শুটিং করতে গিয়ে পিঠে ব্যাথা পেয়েছে। তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন শুটিং করা এতো সহজ না। মাঝে মধ্যে একটা অভিনয়শিল্পীকে বিশৃঙ্খলা অবস্থায় পড়তে হয়। গল্প বলবো একটু পরে। সকলে আমার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন। তার আগে যিনি আমাকে সেবা-যত্ন করেছেন তার সম্পর্কে দুই একটি কথা বলতে হবে তিনি একজন সিনিয়র অভিনেত্রী নাম হচ্ছে শিখা কর্মকার তিনি অনেক নাটক ও সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি যখন দেখলেন যে আমার পিঠে আঘাতের চিহ্ন তখন তিনি বলল দাঁড়াও তোমাকে ভাল একটি মলম লাগিয়ে দিচ্ছি তারপর তিনি একটি মা যেভাবে সন্তানকে আঘাতের জায়গায় মলম লাগিয়ে দেয় সেভাবেই তিনিও মায়ের মত মলম লাগিয়ে দিয়েছিল। তুমি সান্তনা দেয় যে এক্ষুনি ব্যাথা সেরে যাবে। শুটিংয়ে আরেক ভাইয়ের পরিচয় তার নাম শাকিব সে আমাকে স্যালাইন গুলে খাওয়ালো। আমার তখনই চিন্তা হলো ব্যাথা কমুক আর নাই কমুক সান্তনা তো দিয়েছেন তাতে আমি খুব খুশি হলাম মনে মনে। ১০ মিনিট পরে রাজু দেওয়ান পরিচালক ডাকলো যে তোমার শর্ট এখনো বাকি আছে তাড়াতাড়ি পোশাক পরো নাটক এর বাকী অংশগুলো শেষ করতে হবে। গল্প: নাটক এর নাম চোরের বউ নাটকের একটা সিন দেখানো হবে যে আমি চুরি করতে গেছি তখন সামনা সামনি গরুর সাথে মতবিনিময় কথা চলতেছে তখন পরিচালক রাজু দেওয়ান বলল যে আপনি খামারের ভিতরে ঢুকেন ভিতরে ঢুকে গরুর বাঁধনটা খুলে দেন এরকম একটি অংশ করেন। উপরে একটি স্টিল রড ছিল তারপর গরু যখন দাঁড়িয়ে গেল আমি তখন ভয় পেয়ে গেলাম তখন আমি রডে এ বাড়ি খেয়েছি। এটা প্রোডাকশনের গাফিলতির জন্য এই ব্যাথাটা আমি পেলাম।একজন আটিস্ট শুটিং করার পূর্বে যেই স্থানে অভিনয় করবে সেই স্থানটি পরিদর্শন করা। কোন সমস্যা হবে কি না শুটিং করতে গেলে এগুলো খেয়াল রাখা তারপর শুটিং করা উচিত। আমি ব্যাথা পাওয়ার পরে পড়ে গিয়েছি কিছু নতুন ছেলে বলতেছে আমি নাকি অভিনয় করতেছি আমাকে কেউ একজনও তুলে উঠাতে আসলো না আমি নিজে নিজে উঠেছি তারা বলছে এটাই শুটিং দারুন হয়েছে রিয়েল পরিচালক বললো। তখন শুটিং চলছিল বলল যে আপনার অংশ এখনো শেষ হয়নি আমি তখন ব্যাথা পেয়েও আবার শুটিং শুরু করেছি। সকল ভিডিও আমার মোবাইলে চিত্রায়ন আছে আপনারা বলুন এটা অভিনয় নাকি বাস্তব?? আমি মন থেকে খুব কষ্ট পেলাম। নতুন লোকজন কি আর অভিনয় সম্পর্কে কতটুকু ধারনা আছে? ইউটিউব চ্যানেল আসার পর এখন সকলে আটিস্ট গয়ে গেছে। সময় কথা বলবে। এটাই প্রমাণিত হলো শুটিং এর মানুষের দয়া মায়া নেই। পরিচালক ঔষুধ তো কিনে দেই নাই একটা কল দিয়ে খোঁজখবর নেই নাই (বাস্তব)। শুটিং এর কোন স্থানে কি কি সমস্যা আছে সেটা প্রোডাকশনের দেখার দায়িত্ব। শুটিং ইউনিটে শুটিং করার সময় কোন আটিস্ট আঘাত প্রাপ্ত হলে দায়ভার পরিচালকে ও প্রযোজকে বহন করতে হয়।
তিনি বলেছেন আমি যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি সকলে আমার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।
রিমন