
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার মুশিদহাট মালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খাঁন (৬২) একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা, ছিনতাই এবং প্রাণনাশের হুমকির শিকার হচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে তিনি থানাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মো. আ. মজিদ খাঁনের অভিযোগে জানা যায়, তার ছেলে মো. রাসেল খাঁন (২২) ও রাসেলের কথিত স্ত্রী মোছা. আলো আরজিনার (১৯) সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জেরে তার পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে। ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে আলো আরজিনা মো. আ. মজিদ খাঁনের কাছে একটি ভিডিও ফুটেজে জানান, তিনি রাসেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে সংসার শুরু করেছেন।
মানবিক কারণে মো. আ. মজিদ খাঁন তাকে আশ্রয় দিলেও পরে জানা যায়, আলো আরজিনার আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং তার প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই অবৈধভাবে নতুন সংসার শুরু করেছেন।
এ ঘটনার পর আলো আরজিনা ও মো. রাসেল খাঁন ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আ. মজিদ খাঁনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও হুমকি-ধমকির মাধ্যমে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বিষয়টি তিনি বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
এরপর ৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দিনাজপুর কোর্টে যাওয়ার সময় রেলস্টেশনের কাছে সন্ত্রাসীরা মোঃ আঃ মজিদ খাঁনের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনি দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২২ মে ২০২৫ তারিখে আদালতের বারান্দায় বা উকিল বারের ভিতরে মোঃ রাসেল খাঁন প্রকাশ্যে মো. আ. মজিদ খাঁনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আলো আরজিনা নিজেকে গর্ভবতী দেখিয়ে জামিনে বের হয়ে মো. আ. মজিদ খাঁনের কাছে একাধিকবার ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে, অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২৯ মে সকালে একাধিকবার ফোন করে একইভাবে হুমকি প্রদান করা হয়।
৩ জুন ভুক্তভোগী বাদীকে খুঁজে বেড়াচ্ছে আদালতের ভিতরে অভিযুক্ত আসামি রাসেল খান ও তার দলবল নিয়ে।
মো. আ. মজিদ খাঁন অভিযোগ করেন, গত ৩ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাকে সন্ত্রাসীরা টানা-হেঁচড়া করে স্টেশনের বাইরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকায় ফের তার ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন (যার মূল্য ২৯ হাজার ৫০০ টাকা) এবং নগদ ৮ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা (জিআর-৩৪৩/২৪, জিআর-৬৮৬/২৪, নারী ও শিশু মামলা নং-২১/২০, সিআর নং-৬৯/২৪) চলমান রয়েছে, দিনাজপুর রেল স্টেশন জিআরপি থানায় আরো অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ প্রশাসন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্প ২৮ দিনাজপুরের নিকট তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মো. আ. মজিদ খাঁন।