নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. রবিউল আলম মুকুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি দেন।
কবি মুকুল বলেছেন, কর্মময় ব্যস্ত জীবনে লেখাপড়া করা এবং লেখা লিখির কোন সুযোগই ছিল না। তবে কিছু সৃষ্টি করা ও লিখার প্রতি তার খুব মনোযোগ ছিল। কিন্তু সময়ের কারণে লিখতে পারেননি। চেপে রেখেছিলেন তার ভিতরের প্রতিভাকে। প্রতিভা কি চেপে রাখা যায়? তা বিকাশিত হয়, তার উদাহরণ রবিউল আলম মুকুল।
কবি রবিউল আলম মুকুল একজন প্রবাসী। একদম অতিসাধারণ প্রবাসীর মতই তার প্রবাস জীবন। সংসারের চাহিদা অনুযায়ী সে বেতন পেত না! তাই তাকে অতিরিক্ত কাজ করে সংসারের চাহিদা পূরণ করতে হয়েছে।
২০১৮ সালে কর্মের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে তার লেখালেখির শুরু হয়। ২০১৯ সালে করোনা যখন সারা বিশ্বকে গ্রাস করলো তখন কর্মব্যস্ততা কমে গেলে ঠিক তখনই তিনি লেখালেখির প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে দেন।
সে সময় একটি বই প্রকাশের চিন্তা তার মাথায় এলে তখন প্রবাস থেকেই গুগল-এ সার্চ করে জলছবি প্রকাশনার প্রকাশক নাসির আহমেদ কাবুল’কে পেলেন। তার সম্পাদনায় মুকুলের প্রথম প্রকাশ।
২০২২ সালে অমর একুশে বইমেলায়, “হে রব! আমি ক্ষমাপ্রার্থী” প্রকাশিত হয়। এবার ২০২৩ সালে জলছবি প্রকাশনা স্টল থেকে তার দুটি বই প্রকাশিত হবে। কাব্যগ্রন্থ ত্যাগ, প্রবন্ধ ইসলামের আকিদা ও মোনাজাত। তাছাড়া একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস সাহিত্যিক পরিষদের পক্ষ থেকে কবিদের স্বপ্নপুরী প্রকাশিত হওয়ার কথা যায়যায়কাল’কে বলেছেন।
কবি মুকুল অমর একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে আসবেন বলে যায়যায়কালকে জানিয়েছেন। তার কিছু উল্লেখ্যযোগ্য কবিতার মধ্যে রয়েছে এসো নত হই, হে বিশ্ব স্রষ্টা ও প্রতিপালক, মোনাজাত, হে রব আমি ক্ষমাপ্রার্থী, চার খলিফা, কি অপরূপ সৃষ্টির নিদর্শন, বৃদ্ধাশ্রম, স্বপ্নের সোনালী বাংলাদেশ, প্রাণের বাংলা, আঁকাবাঁকা পথ, স্বপ্নের স্বাধীনতা, স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক, বিতরণ ও আত্মকেন্দ্রিক।
ইসলামের আকিদা ও মোনাজাত বইটির সম্পর্কে লেখক বলেন, বিধাতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও বিধাতার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার এই বইটি লেখা। ইসলামের সৌন্দর্যকে লেখক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন এবং আকুতি মিনতি করে বিধাতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য মোনাজাত লিখেছেন। একুশে বইমেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কসবা ও কুটিতে কিছু লাইব্রেরীতে কবি মুকুলের বই গুলো পাওয়া যাচ্ছে।