
মোঃ আখতার হোসেন হিরন, সলঙ্গা: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার সলঙ্গা রোডে সবুজ শ্যামলঘেরা কোলাহলমুক্ত সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত তাহযীবুল উম্মাহ মাদ্রাসার ৩য় শাখা “শাহিদা মাহমুদা মহিলা মাদ্রাসা” অত্র এলাকায় কুরআন হাদীসের আলো ছড়াচ্ছে। যা খুব অল্প দিনেই সুনাম অর্জন করেছে। দ্বীনের সুবাশে সুবাশিত হচ্ছে এলকাবাসী।
মাদরাসার সম্মানিত অভিভাবক শাহিদুল ইসলাম,শামছুর রহমান ও ইউসুফ আলীর সঙ্গের কথা বলে জানা যায়,উক্ত তাহযীবুল উম্মাহ মাদরাসার এ শাখাটি অল্প দিন হল খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে চালু হলেও এখন অনেক শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-দিক্ষা, আদব-আখলাক ও সালাম-কালাম এলাকাবাসীকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে একজন মেয়ে আরেক মেয়ের সঙ্গে মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) ইসলামের এ বিধানটি আমাদের কাছে অপরিচিতিই ছিল? যা এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সচরাচার প্রচলন করা দেখে আমাদের সমাজের অনেক মেয়ে অনুপ্রানিত হচ্ছে। এছাড়াও মেয়েদের খাছ পর্দাসহ রয়েছে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, আওয়াবীন নামাযের আমল। শুক্রবার সূরা কাহাফ,পাঁচওয়াক্ত নামাযের পর পাঁচটি সূরার আমল ও মাগরিব আযানের পূর্বে মোনাজাত তাদের নিত্যদিনের ব্যাপার। সকাল বিকাল কিছু সময় নিম্নস্বরে যিকির করতেও দেখি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এককথায় তারা অল্পদিনে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মাদ্রাসার পরিচালক বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক, গবেষক, বহু গ্রন্থপ্রনেতা মুফতী আনোয়ার হোসেন ইউসুফী বলেন তাহযীবুল উম্মাহ মাদরাসা বোয়ালিয়া শাখা (শাহিদা মাহমুদা মহিলা মাদরাসা) -এর পথচলা মাত্র ৭ মাস আগে।
আমাদের দুটি বিভাগ রয়েছে নূরানী ছাত্র ছাত্রী, প্লে থেকে ৩য় শ্রেণি মহিলা বিভাগ শুধু ছাত্রী, মক্তব, হিফজ ও কিতাব। উভয় বিভাগ মিলে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১৫ জন। মাদ্রাসায় শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে ৯ জন। আল্লাহর শোকর, ইতিমধ্যে আমাদের বোয়ালিয়া শাখা থেকে একজন ছাত্রী হিফজ সমাপন করেছে। আর আমাদের মাছিয়াকান্দি শাখায় এ বছরে হিফজ সমাপন ছাত্রী রয়েছে দুইজন। তাদের সম্মানী পদক প্রদান উপলক্ষে গত কয়েকদিন পূর্বে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুর রউফ সাহেব। বয়ান পেশ করেন পীরে কামেল মাওলানা আব্দুল্লাহ, মুফতী কামরুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম ও মাওলানা জোনাইদ আহমদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলহাস সিদ্দিকী তালুকদার ও শামছুদ দোহা।
এ মাদরাসার পরিচালক অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আগামী ১ম রোমজান থেকে মাদ্রাসার মহিলা বিভাগে মক্তব,হিফজ ও কিতাব বিভাগে ভর্তি শুর করা হবে ইনশাআল্লাহ। তাই আমলওয়ালা হাফেজা ও আলেমা তৈরির লক্ষে আমাদের প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার দায়িত্ব হবে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়াও ১ম রোমজান থেকে মেয়েদের নাহু সরফের প্রশিক্ষণ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।