
মোহাইমিনুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের উলিপুরে অসুস্থ গরুকে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে ২ প্রাণী চিকিৎসক, কসাই ও গরুর মালিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একজনকে মুছলেকা নিয়ে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়ের কিশামত তবকপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এই রায় দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার কিশামত তবকপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ কুমার পালের গরুটি বাচ্চা জন্ম দেয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পড়ে ২ জন পল্লী চিকিৎসককে ডাকেন। চিকিৎসকরা গরুটির সিজার করার সময় আরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গরুটি জবাই করার পরামর্শ দেন এবং ২ জন কসাই এর সাহায্যে গরুটি জবাই করে।
জবাইকৃত মাংস মোটর বাইকে করে বাজার জাত করার সময় স্থানীয়রা ২ কসাই ও বাইক সহ মাংস গুলো আটক করে।
পরে কুড়িগ্রাম থেকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার করেন এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযুক্তদের জেল ও জরিমানা দেন।
মোবাইল কোর্টের বিচারক ও সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অসুস্থ গরু জবাই করে বাজারে সরবরাহের ঘটনায় জড়িত থাকায় পল্লী পশু চিকিৎসক আজিমনুর রহমান (৪২) কে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদাযয়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড ও আরেক পল্লী পশু চিকিৎসক জসিম উদ্দিন (২৮) কে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং পশু জবাই এর কারনে কসাই শাহ আলম ওরফে নাদু (৩৮) কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক দিনের কারাদণ্ড ও গরুর মালিকশ্রী সৌরভ কুমার পাল (৩২)-কে ৫০০০ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
এছাড়া আরেক কসাই ও মাংসবাহী মোটর বাইকের চালককে মুচলেকা প্রদানের শর্তে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।