সাকিব আসলাম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা শেখপাড়ায় অবস্থিত ওয়ালিউল্লাহ-আল মুকাদ্দাস মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ অক্টোবর আওয়ামী বর্বরতার শিকার হয়ে যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের শাহাদাতের মর্যাদা কামনা এবং দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আলী আজম মো. আবু বকর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, আলোচনা সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এইচ এম আবু মুসা বলেন, শহীদেরা আমাদের প্রেরণা। তাদের জীবনাচরণ আমাদের দেশ ও ইসলামের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সম্মুখে রেখে আগামী দিনের সকল বৈষম্য দূরীকরণের শপথ নিতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত করতে ছাত্রশিবিরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মতো পৈশাচিক কায়দার আর কোনো বর্বর সংগঠন যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে তার জন্য সজাগ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আলী আজম মো. আবু বকর বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস বর্বরতার ইতিহাস। পতিত স্বৈরাচারকে কোনো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না। আগামীতে যদি আবারো এরা ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রকাশ্যে খুন ও গুমের রাজনীতিতে মেতে উঠবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এ ব্যাপারে চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পলাতক সৈরাচারের দোসরেরা এ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একের পর এক ইস্যু বা অঘটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না।