যায়যায় কাল প্রতিবেদক: এবারের একুশে বইমেলায় তুলে ধরা হবে ১৯৭৫ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের নানা দিক, পাশাপাশি থাকবে জুলাই চত্বরের বিষয়াবলীও। ১ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, এবং বাংলা একাডেমি এবার মানসম্পন্ন বইয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। যদিও নাশকতার শঙ্কা নেই, তবে মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
হাতুড়ি-পেরেকের টুং-টাং শব্দ আর রঙের প্রলেপে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে ব্যস্ততা। শুরু হতে যাচ্ছে সৃজনশীলতা আর আবেগের এক অনন্য মেলবন্ধন, অমর একুশে বইমেলা।
এবারের বইমেলায় বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে জুলাই চত্বর এবং বাড়ানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। বইয়ের মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। তিনি বলেন, যদিও সম্প্রতি মব কালচার নিয়ে কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে বইমেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মাসব্যাপী বইমেলায় প্রতিদিন হাজারো মানুষের নির্বিঘ্ন সমাগম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। যদিও নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবুও মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে।
১ ফেব্রুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নানা দিক তুলে ধরা হবে বইমেলায়।