মো. রবিউল ইসলাম, স্টাপ রিপোর্টার: বান্দরবানে প্রায় এক মাস পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আগামী সপ্তাহে সীমিত পরিসরে পর্যটন স্পটসমুহ উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসন সভা কক্ষে বান্দরবান পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বান্দরবান জেলাটি পর্যটন নগরী হিসেবে সুখ্যাতি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে আগত পর্যটকদের সেবার বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছিল এই পর্যটন শিল্পকে। বর্তমানে এই শিল্পে বিনিয়োগকৃত অধিকাংশ মালিকই ঋণগ্রস্ত।
২০১৯ সালে করোনা মহামারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ক্রমান্বয়ে ক্ষতিকর সম্মুখীন হচ্ছেন। এরুপ পরিস্থিতিতে সর্বশেষ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অরোপিত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ৩৬টি খাতে সংশ্লিষ্টদের জীবিকা নির্বাহে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এইখাতে জড়িত ব্যবসায়ীদের সমাজে ভালো সুনাম থাকলেও নিয়মিত ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আরোপিত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পক্ষ থেকে দেওয়া সব আবেদন ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি ব্যাতীত সব উপজেলায় ভ্রমণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এছাড়া রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উন্মুক্ত করার বিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাউছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মনজুরুল হক, বান্দরবান সদর রিজিয়নের মেজর মো, শায়েখ উজ জামান, বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কাজল কান্তি দাশ, সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহারিয়াসহ জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন৷
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে যখন মতবিনিময় সভা চলছিল তখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে হোটেল-রেস্টুরেন্টের শ্রমিক, সিএনজি-ইজিবাইকের চালকরা ভাত দেন না হয় পর্যটন খুলে দেন ব্যানার ধরে মিছিল করছিল শত শত পর্যটন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক।