শুক্রবার, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

আড্ডায় মাতলেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা আর খাটো নারী

যায়যায়কাল ডেস্ক: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ও সবচেয়ে খাটো নারী লন্ডনে একসঙ্গে বসে বিকালের চা পান করেছেন।

শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

তুর্কী ওয়েব ডিজাইনার রুমেইসা গেলগির (২৭) উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি (২১৫.১৬ সেমি)। অপরদিকে ভারতের অভিনেত্রী জ্যোতি আমগের (৩১) উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি (৬২.৮ সেমি)।

তারা লন্ডনের স্যাভয় হোটেলে দেখা করেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (জিডব্লিউআর) বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য প্রায় ৫ ফুট (১৫২.৩৬ সেমি) হলেও তারা হাসিমুখে চা পান করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন।

এক বিবৃতিতে গেলগি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক মিল আছে। আমরা দুইজনই মেকআপ করতে, নিজের যত্ন নিতে, অলংকার পরতে ও নখে নেইল পলিশ লাগাতে ভালবাসি।’

‘উচ্চতার পার্থক্যের জন্য একে অপরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে একটু সমস্যা হলেও, সব মিলিয়ে এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল’, যোগ করেন তিনি।

আমগে বলেন, তিনি এই অনন্য রেকর্ডধারী গেলগির সঙ্গে দেখা করতে পেরে ‘খুবই আনন্দিত’ হয়েছেন।

তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার গেলগিকে ২০২১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘লম্বা জীবিত নারী’ হিসাবে নিশ্চিত করে গিনেস।

উইভার সিনড্রোম নামে এক বিরল রোগ গেলগির এই উচ্চতার কারণ। তার আগে মাত্র ২৬ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

গেলগির অন্যান্য রেকর্ডের মধ্যে আছে নারী হিসাবে সবচেয়ে লম্বা হাত, পিঠ ও কানের অধিকারী হওয়া।

গেলগিকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেছে জিডব্লিউআর, যার নাম ‘রুমেইসা: ওয়াকিং টল’। এই প্রামাণ্যচিত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে যেয়ে অন্যান্য রেকর্ডধারীদের সঙ্গে দেখা করেন।

আমগে ভারতে জন্ম নেওয়া অভিনেতা ও গণমাধ্যম তারকা। তিনি অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া নামের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। যার ফলে তার হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যায়। এই রোগ সাধারণ হাতে ও পায়ে সংক্রমিত হয়।

মাতৃগর্ভে ভ্রূণ থাকা অবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। শিশুদের হাত ও পা গঠনে ব্যবহৃত কার্টিলেজ টিস্যু এতে প্রভাবিত হয়।

আকারে ছোটখাটো হলে, সামাজিক মাধ্যমে একজন বড় তারকা আমগে।

তিনি ‘আমেরিকান হরর শো: ফ্রিক শো’ নামের মার্কিন টিভি সিরিজে মা পেতিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে খাটো অভিনেত্রী হিসেবেও তালিকাভুক্ত করেছে জিডব্লিউআর।

আমগে ইতালির ‘লো শো দেই রেকর্ড’ নামের টিভি অনুষ্ঠানেও বেশ কয়েকবার উপস্থিত হন।

জিডব্লিউআরের এডিটর-ইন-চিফ ক্রেগ গ্লেনডে লন্ডনে এই দুই নারীর সঙ্গে দেখা করেন।

গ্লেনডে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই দুই অসাধারণ, প্রবাদপ্রতিম নারীকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসায় তারা তাদের নিজ নিজ জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন এবং আমরাও তা জানতে পারব।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ২০২৫ সালের ছাপানো সংস্করণে গেলগি ও আমগে উভয়কেই জিডব্লিউআর আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *