শুক্রবার, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী বীরাঙ্গনা করফুলি বেওয়া আর নেই

এ এম আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর : শেরপুরের নালিতাবাড়ীর উপজেলার মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বাসিন্দা ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী বীরাঙ্গনা করফুলি বেওয়া (৮০) বার্ধক্যজনিত কারনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। একই দিন বিকেল ৬টার সময় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সামাজিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এসময় রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা উপস্থিত থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মরহুমা করফুলি বেওয়া দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রসঙ্গত, মরহুমা করফুলি বেওয়ার স্বামী নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন ১৯৭১ সালের ২৫ শে জুলাই রাজাকার আলবদরদের সহযোগীতায় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। সেদিন একই কায়দায় পাকসেনারা ওই গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষ মানুষকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। গ্রামের সকল পুরুষ মানুষকে হত্যা করায় ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় ‘সোহাগপুর বিধবাপল্লী’। সেসময় পাকবাহিনীর সদস্যদের কাছে করফুলি বেওয়া শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকার আলবদরদেরকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ওই গ্রামের বিধবাদের বীরাঙ্গার স্বীকৃতি দেন। মরহুমা করফুলি বেওয়া একজন সরকার কতৃক স্বীকৃত বীরাঙ্গনা ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন স্বাক্ষী ছিলেন। তিনি জীবিত থাকাকালীন সময়ে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সম্মান ও রাষ্ট্রীয় সকল সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *