শাহ্ জালাল সিকদার, মালদ্বীপ প্রতিনিধি: সোমবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে রাজধানী মালে সিটির বাংগালী মার্কেট নামে ক্ষ্যত নীলন ফিহারা/পুরাতন মার্কেটে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স এবং জনসাধারণের যৌথ প্রচেষ্টায় আনুমানিক সকাল ৭.৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে, বিপুল সংখ্যক আবাসিক বাড়ি এবং বেশ কয়েকটি স্কুল নিয়ে গঠিত এলাকাটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন রয়েছে এখনও।
অগ্নিকাণ্ডে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়ে আশেপাশে থাকা লোকজন। অগ্নিকাণ্ডের পাশেই ছিলো মালে সিটি কাউন্সিলের আবাসস্থলের ব্লক। ঘটনার সাথে সাথে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্লকটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বাসস্থান ছিলো বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে এখনো কোনো হতাহত হাওয়ার খবর পাওয়া যাইনি। ঘটনার পর পর দ্রুত আবাসস্থলে থাকা প্রবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আবাসস্থলে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আসবাপত্র, কাপর-চোপর, মোবাইল সহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
অগ্নিকাণ্ডস্থানে থাকা প্রবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের রুমে থাকা পাসপোর্ট, টাকা পয়সা, মোবাইল সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব আগুনে পুড়ে গেছে। কেউ কোন কিছুই সাথে নিয়ে আসতে পারেনি। কুমিল্লা প্রবাসী মোহাম্মদ রিপন, বলেন আমাদের রুমে ছিলো মালদ্বীপের রুপিয়া, ডলার যা অনেকেই দেশে যাবে পাঁচ ছয় মাস ধরে দেশে টাকা না পাঠিয়ে জমানো টাকা ও কেনাকাটা করে রেখেছিলো সবই পুড়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের পাশে থাকা আবাসস্থল ব্লকে মালে সিটি কাউন্সিলের সমস্ত কর্মচারীকে এখন অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ইমাদউদ্দিন স্কুল মাঠে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার স্থান ও অস্থায়ী আশ্রয় স্থান পরিদর্শন করেন মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফায়সাল নাসিম, মালে সিটি কাউন্সিলর, মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, মিশনের প্রথম সচিব মো. সোহেল পারভেজ ও কল্যাণ সহকারী জসিম উদ্দীন।
অগ্নিকাণ্ডস্থান পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি মালদ্বীপের ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান সহ মন্ত্রণালয় এবং এখানে এসে মালে সিটি কাউন্সিলারের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাকে বলেছে সকল বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে আছেন এবং অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আজকের মধ্যেই স্থায়ী বাসস্থানের ব্যাবস্থা করে দিবেন।
মালে সিটি কাউন্সিলর এর বরাতে, আবাসস্থল ব্লকে একজন ভারতীয় সহ প্রবাসী বাংলাদেশি ১৬৫ জন কর্মী রয়েছে। তাদের সবাইকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত কাউন্সিলর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। কি কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত মালদ্বীপের ফায়ার সার্ভিসের টিমের কর্মকর্তারা তার অনুসন্ধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।