ইসমাইল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক: খোলো খোলো দ্বার, রাখিয়ো না আর বাহিরে আমায় দাঁড়ায়ে। দাও সাড়া দাও, এই দিকে চাও এসো দুই বাহু বাড়ায়ে। কাজ হয়ে গেছে সারা, উঠেছে সন্ধ্যা তারা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পর্যটক সমাগম স্বাভাবিক হলে সংকট কাটিয়ে উঠার প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। অপরূপ আঁকাবাকা পাহাড়ি কন্যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে সারাবছর পর্যটকে মুখরিত থাকতো। কিন্তু এক মাস পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন প্রশাসন।
পর্যটন নগরী খাগড়াছড়িতে পর্যটক না আসায় পর্যটন কেন্দ্র, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূর্বের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। পার্বত্য বান্দরবানে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। সীমিত পরিসরে নীলগিরিসহ বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি চারটি উপজেলার দর্শণীয় পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ উন্মুক্ত করা হবে।
বুধবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন কনফারেন্সরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান। এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মঞ্জরুল হক, সেনা কর্মকর্তা, ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা, বিজিবি কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স
অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ট্যুরিস্ট জিপ গাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলমসহ প্রমুখ ।
