মঙ্গলবার, ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে চাল না পেয়ে জেলেদের বিক্ষোভ, তদন্ত কমিটি গঠন

মো: আবু জিহাদ, আমতলী(বরগুনা): মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তার চাল না পেয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক জেলে বিক্ষোভ করেছেন।

সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে জেলেরা জানান, তাদের হাতে বৈধ জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও বরাদ্দকৃত চাল দেওয়া হয়নি। কালিবাড়ি গ্রামের জেলে মিলন হাওলাদার বলেন, আমি একজন কার্ডধারী জেলে। আমার কার্ড নম্বর ১০০৪০৯০০৪৭০০০০৩৩৪। তবুও আমাকে চাল দেওয়া হয়নি। মাস্টার রোলে আমার নাম থাকলেও চাল অন্য কেউ নিয়েছে, এটার তদন্ত চাই।

চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন জেলে—চালিতাবুনিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন, পাতাকাটা গ্রামের নূর মোহাম্মদ হাওলাদার, চদ্রা গ্রামের কেরামত আকন, কাউনিয়া গ্রামের আরশেদ পাহলান এবং ঘটখালী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক।

অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বিষয়টি আমলে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন— উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল (সভাপতি), মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. অলিউর রহমান,উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর মো. মাইনুল ইসলাম।

কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান মো. রাসেল বলেন, চিঠি হাতে পেলেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।

চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, তালিকা অনুযায়ী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সব জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, চাওড়া ইউনিয়নের ৬৪২ জন জেলের জন্য বরাদ্দ চাল ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে তালিকা হালনাগাদ করার সময় অনেক অযোগ্য নাম বাদ দেওয়া হয়। বাদ পড়া কেউ কেউ পুরনো জেলে কার্ড দেখিয়ে এখন চাল দাবি করছে—বিষয়টি তদন্তে স্পষ্ট হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *