
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা–১ (তালা–কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা আমার নেই। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। জীবনের বাকিটা সময় আমি গণমানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে উচ্চ আদালত থেকে ৭০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা থেকে খালাস পাওয়াকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, “যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। বরং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। অথচ ওই ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম, সাতক্ষীরায় নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সদস্য সচিব তারিকুল হাসান, সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুস সাত্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুজ্জামান ভুট্রো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে কলারোয়ায় হামলার অভিযোগে ২০১৪ সালে মামলা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে।
বিচারিক আদালত ওই মামলায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
৫০ জন আসামির মধ্যে চারজন বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেন উচ্চ আদালত।












