
বিশেষ প্রতিবেদক : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ফুটানির হাটে দক্ষিণ গয়াবাড়ী ফুটানির হাট আব্বাস আলী সরকার পাড়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে শতভাগ শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে, ঐ মাদ্রাসার সকল শিক্ষকবৃন্দ।
গোটা বিশ্ব ঘিরে এখন তথ্য প্রযুক্তির সুপার হাইওয়ে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্ব ব্যবস্থা প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জই প্রধান হয়ে উঠেছে। এর উপরেই নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকার জন্য আমাদের প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। সময়ের চাহিদা পূরণ, অবাধ এবং মুক্ত বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষাকে মানসন্মত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন মানব সম্পদ সৃষ্টির প্রত্যয়ে নীলফামারীর প্রান কেন্দ্রে ডিমলা উপজেলায় গড়ে উঠেছে দক্ষিণ গয়াবাড়ী ফুটানির হাট আব্বাস আলী সরকার পড়া দাখিল মাদ্রাসা নামে যুগোপযোগী এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।ছাত্র ছাত্রীূের সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পাঠদান সহ শারীরিক চর্চা ও খেলাধুলা করা।
অত্র মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. হারুন অর রশিদ এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানান, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটিতে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩০৯ জন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন, কর্মচারী রয়েছে ৪ জন। মাদ্রাসাটির জন্ম লগ্ন থেকেই প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।
মাদ্রাসার উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তারা জানান, যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা চালাচ্ছেন তাতে করে মাদ্রাসাটির ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া দরকার। ডিমলা উপজেলায় যে কয়টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে, তন্মেধ্যে এই মাদ্রাসাটি অতি সুনামের সহিত রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
মাদ্রাসাটির উন্নয়ন তুলে ধরে সুপার জানান, অত্র মাত্রাসাটিতে প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য পৃথক স্যানিটেশনের ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষক দ্বারা শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের ব্যবস্থা, প্রতি বছর মা-সমাবেশ সহ অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মান উন্নয়নে অভিবাবকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কমিটির সক্রিয় কার্যক্রমের ফলে ইভটিজিংসহ সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণসহ পরিপূর্ণ শিক্ষকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও এখানকার সুযোগ সুবিধা ডিমলার যে কোনো মাদ্রাসার তুলনায় অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসাটির অভিভাবক আব্দুল জব্বার জানান, মাদ্রাসাটিতে শতভাগ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে মানবসম্পদ তৈরিতে তারা বদ্ধপরিকর। আশা করছি আগামীতে আরো শিক্ষার আলো প্রসার ঘটবে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ারুল হক লেবু জানান, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ গয়াবাড়ী ফুটানির হাট আব্বাস আলী সরকার দাখিল মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবাসীর দাবি ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ডিমলা উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তারা তাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।