
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় সুলতানপুর এলাকায় মোছা. আশা আক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক স্বামীর ঘর ভাঙা, চুরি, এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তার কর্মকাণ্ডে শুধু স্বামী এবং সন্তানরাই নয়, পুরো এলাকাবাসী চরম ভুক্তভোগী। তার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
৪ নং স্বামী আঃ মজিদ খানের ঘর থেকে ১৬ লক্ষ ৯ হাজার ২শ টাকা চুরির অভিযোগে আশা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর তিনি তার তিন কন্যা সন্তান— জান্নাতি আক্তার (৪), ফুলসুরাতি (৪) এবং মীম (৩)— কে ফেলে পালিয়ে যান।
অভিযোগ রয়েছে, তার বাবা মো. লাইসুর রহমান এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই কর্মকাণ্ডে তাকে উৎসাহিত করেছেন।
আশা আক্তারের পাশাপাশি তার পরিবার ও সহযোগীদের নামও অভিযোগে উঠে এসেছে। তারা হলেন: ১. মো. লাইসুর রহমান, পিতা মৃত মফির উদ্দিন এবং অভিযোগে সরাসরি প্ররোচনার ভূমিকা থাকার কথা বলা হয়েছে।
২. মোছা. লিপি আক্তার, স্বামী লাইসুর রহমান।
৩. মো. নয়ন মিয়া, পিতা লাইসুর রহমান।
৪. মো. আ. মালেক (চৌধুরী), পিতা মৃত মশির উদ্দিন।
৫. মোছা. কাশ্মীরী, স্বামী মোঃ আলিম।
৬. মো. দুলাল, পিতা মৃত আ. হামিদ।
তারা দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ নাফানগর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম আবাসন এলাকার বাসিন্দা।
৭. দেলোয়ার হোসেন: পিতা মৃত মমিন। ৮. মোছা. রাশিদা আক্তার: সাং জালগাঁও, ৩ নং মুর্শিদাহাট, বোচাগঞ্জ দিনাজপুর।
বোচাগঞ্জ থানাসহ দিনাজপুর কোর্টে মোছাঃ আশা আক্তারের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা বিচারাধীন।
জানা গেছে, বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গড়াই সৈয়দপুর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন।
আশা আক্তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী রংপুর বিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি, দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর মতে, আশা আক্তার ও তার পরিবার স্থানীয় সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ না হলে সমাজের অন্যান্য অংশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।