
যায়যায়কাল ডেস্ক: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার বলেছেন, ইরানে শাসন পরিবর্তন আইডিএফ-এর (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য নয়। এটি হয়তো এর একটি ফলাফল হতে পারে, তবে এটি উদ্দেশ্য নয়।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর রিশন লেওনে ইরানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সার সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলের তিনটি প্রধান লক্ষ্য রয়েছে: প্রথমত, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে মারাত্মক আঘাত হানা– আমরা এখনো তা শেষ করিনি।’
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো এখন ইরানের আকাশসীমায় প্রাধান্য বিস্তার করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আরও লক্ষ্য রয়েছে।’
‘দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো- ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির মারাত্মক ক্ষতিসাধন এবং শেষ লক্ষ্য হলো- ইসরায়েলকে ধ্বংসের পরিকল্পনাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করা’, বলেন তিনি।
এর আগে, গত রোববার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ‘নিশ্চিতভাবে’ ইরানে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। কেননা, ইরানের সরকার এখন ‘খুবই দুর্বল’। তার দাবি, ইরানের ‘৮০ শতাংশ’ মানুষ দেশটির ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলে দেবে।
তিনি ইরানিদের ‘সাহসী’ ও ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ জাতি হিসেবে প্রশংসা করে আরও বলেন, ‘জেগে উঠার এখনই সময়। এই সিদ্ধান্ত ইরানিদের নিতে হবে।’
কিন্তু, বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, নেতানিয়াহু ইরানিদের মনভাব বুঝতে ভুল করেছেন। এমনকি, ইরানে হামলা ইসরায়েলে জন্য বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে।
ইরানে হামলা চালানোয় সে দেশের জনমত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা। যেহেতু তারা হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ের ছুটছেন তাই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্য তাদের কাছে নগণ্য হয়ে উঠতে পারে।