মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ইসকনকে সমর্থন করে মৎস্য কর্মকর্তার বিতর্কিত ফেসবুক স্ট্যাটাস

রকিবুজ্জামান, মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলা কালকিনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন এর পক্ষে ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার লেখেন, ‘জঙ্গি সংগঠন হলেও নিম্নোক্ত কাজগুলো করে (আর্ত মানবতার মহান সেবায় ব্রতী হয়ে) কেন – ১) রোজায় রোজাদারদের ইফতারি দেয় ২) ঈদে গরিবদের নতুন কাপড়-চোপড় দেয় ৩) বন্যায় বন্যা দুর্গতদের সহায়তাও দেয়। এরপরেও যদি নিষিদ্ধ করা লাগে, করেন। আপনাদের যা ভালো লাগে করে যান। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন নিষিদ্ধ করেই, আগের মতো কারো পতন না হয়ে যায়, আবার। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার ম্যাটিকুলাস ডিজাইন হিসেবে হিন্দুদের উপর চালিয়ে দেবার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কারণে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী ৪ জন শিবির ও ১ জন সমন্বয়ক গ্রেফতার হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, সিআইএ সহ আমেরিকার সব গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ইসকন সদস্য। তাদের ভাই সমতুল্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অ্যারেস্ট করে খুব সুবিধা করতে পারবে না।’

স্ট্যাটাসটিতে তিনি বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ট্যাগও করেন।

একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন স্ট্যাটাসকে সরকারি চাকরির আচরণবিধির লঙ্ঘন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ দিকে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তাকে সর্তক করাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান।

আর সমালোচিত এই মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার পরদিন বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে ফেসবুকে করা বিতর্কিত ওই স্ট্যাটাসটি কেটে দেন। এবং নতুন করে বৃহস্পতিবার এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘গত পরশুদিন রাতে ইসকনের কাজ কাম, এটাকে নিষিদ্ধ করা ও এটাকে কে কি করবে এসব নিয়ে যে পোস্টটি করেছিলাম তা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রকাশিত হয়ে গেছে। এতে যদি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে তা আমার ইচ্ছাকৃত নয়। এটা আমার ভুলে ও অনিচ্ছায় হয়েছে। আমি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থী ও সকলের কাছে মাফ চাচ্ছি। আর উক্ত পোস্টটি ডিলিট করেও দিয়েছি।’

সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয় বলে উল্লেখ করে সচেতন মহল বলেন, ‘শুধু ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে তিনি আচরণবিধি লংঘনের দায় এড়াতে পারেন না।’

এ বিষয়ে সমালোচিত উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি আইন কানুন এতো বুঝি না। এগুলো বুঝে পুলিশ প্রশাসন। আমি বুঝি মাছের বিষয়ে। সরকারি বিধিমালা আমি না জেনে ভুলে পোস্ট করেছিলাম। পরে তা ডিলেট করে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেছি।’

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমি তাকে ডাকলে তিনি আমার সামনে ঐ স্ট্যাটাসটি কেটে নতুন করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। যেহেতু তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে। তাই আমি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ