মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

একের পর এক অভিযোগেও পদক্ষেপ নেই পুলিশের, নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক পরিবার

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন সরকারের বরাবর একাধিক অভিযোগ দায়ের করেও কার্যকর পদক্ষেপ না পাওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী বাদী সাংবাদিক আব্দুল মজিদ খান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী প্রথমে ১১ নভেম্বর ২০২৪ইং এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আবারও গত ৩০ মে ও ২ জুন বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেন। এরপরে গত ৩ সেপ্টেম্বর বোচাগঞ্জ থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর আবারও বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ডাকযোগে অভিযোগ দাখিল করা হয়। কিন্তু এতগুলো অভিযোগ দায়েরের পরও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এবং আদালতে কোন প্রতিবেদনও পাঠানো হয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মামলা (নং এমআর-১) এ ছয়জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর মধ্যে কেবল আসামি লাইসুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেয়া হলেও বাদী ও মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেই আসামি জামিনে মুক্তি পান বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে তাকে এবং অন্যান্য আসামিদের থানায় অবাধে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

বর্তমানে মামলার ছয় আসামির মধ্যে ৪ জন এখনও পলাতক, ১ জন জামিনে মুক্ত, আর ১ জন দিনাজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। এদিকে এই মামলার দায়িত্বে থাকা ২ জন ওয়ারেন্ট অফিসার এএসআই শংকর, এসআই মাহাবুর এবং ২ জন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লিখন কুমার দাস, এএসআই আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল মজিদ খান অভিযোগ করেন, থানায় একাধিকবার অভিযোগ দাখিলের পরও ওসি জাহিদ হোসেন সরকার আসামিদের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন। কখনো তাকে ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, আবার কখনো নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় সচেতন মহলসহ সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকা ও বোচাগঞ্জ উপজেলার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একাধিক অভিযোগ ও আদালতের নির্দেশনার পরও আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়নি এবং কেন আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা, বিভাগীয় রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি ডিবি, দিনাজপুর সেনা কমান্ডার ক্যাম্প-২৮, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অনুলিপি সহ অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বর্তমানে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল মজিদ খান ও তার পরিবার গভীর নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ