বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হওয়ার পর গত এক মাসে আয় হয়েছে চার কোটি দুই লাখ দুই হাজার ৮৫০ টাকা। এই সময়ে গাড়ি পার হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি। গত ২৯ অক্টোবর টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরুর পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত এই আয় এলো।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের টোল ব্যবস্থাপক মো. বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত এক মাসে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি গাড়ি টানেল দিয়ে পার হয়েছে। এই সময়ে টোল আদায় হয়েছে চার কোটি দুই লাখ দুই হাজার ৮৫০ টাকা।’
দিন দিন টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল বাড়ছে উল্লেখ করে বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ১০ হাজার পর্যন্ত গাড়ি পার হচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনে চার-পাঁচ হাজার গাড়ি পার হয়।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার যানবাহন চলাচলের টার্গেট রয়েছে। তবে গত এক মাসে একদিনও ওই পরিমাণ গাড়ি পার হয়নি। শুরুতে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটিতে দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরে থাকা ২০টি গাড়ির জন্য চার হাজার টাকা টোল দেন।
টানেল পাড়ি দিতে প্রাইভেটকার ও পিকআপ ২০০, মাইক্রোবাস ২৫০, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০, ট্রাক ও ট্রেইলারকে (৪ এক্সেল) এক হাজার টাকা টোল দিতে হয়। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল আদায় সম্পন্ন হচ্ছে। টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হয়।