শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলীতে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে আবারও সড়ক অবরোধ

মিজানুর রহমান, কর্ণফুলী: চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি ও হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে কর্ণফুলী উপজেলার কেপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় পিএবি সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চাকরিজীবীরা। আটকা পড়ে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের গাড়ি।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাতির বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসন ৪ দিনের সময় নিয়েও তারা কোনো সুরাহা করতে না পারায় তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। হাতির বিষয়টির স্থায়ী কোনো সমাধান না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সর্বশেষ খবর পাওয়া আন্দোলনকারীরা কর্ণফুলীর দৌলতপুর স্কুল এলাকা এবং আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল সড়কের জাইল্লাঘাটা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দুটি টিমকে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ৮টা) থানা পুলিশের কোনো টিমকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

এর আগে গত ২২ মার্চ হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হলে ওইদিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। যদিও দীর্ঘ ৬ ঘন্টা আন্দোলনের পর ৪ দিনের সময় নেয় প্রশাসন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম বলেন, বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা আমাদেরকে এসে কিংবা ফোনে আশ্বাস দিতে হবে কতদিনের মধ্যে হাতির বিষয়টি নিরসন করা যায়। তাহলেই আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব। আর এইখানে কেপিজেড নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।

এ ব্যাপারে কেপিজেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান বলেন, এটি বৃহত্তর একটি শিল্প অঞ্চল। কেপিজেডে কখনো হাতি ছিল না। হাতি সরাতে আমরাও চাই। বনবিভাগকে একাধিকবার হাতি সরাতে চিঠি দিলেও তাদের হাতি সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি। আর স্থানীয় লোকজন কি কারণে কেপিজেডকে প্রতিপক্ষ ভাবেন আমরা বুঝি না। হাতি সরানোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই পাশে থাকব।

কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাতি নিরসনের বিষয়টি সম্পন্ন উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের। যদিও জনগণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ