কামরুল হাসান, ফটিকছড়ি: ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জ্ঞান ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ জীবন গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান।
শুক্রবার নাজিরহাটের হাটহাজারী ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খোরশেদুল আলম এনামের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন সেক্রেটারি মু. জহুরুল ইসলাম মঞ্জুরের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ আলাউদ্দিন সিকদার, উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী। এছাড়াও হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী, উপজেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা নায়েবে আমীর এড. ইসমাঈল গনি, ফটিকছড়ি উপজেলা সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট আলমগীর মুহাম্মদ ইউনুস, নাজিরহাট পৌরসভা সভাপতি বায়জিদ হাসান মুরাদ ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ আরিফ, হাটহাজারী পৌরসভার আমীর মু. মিজানুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদুর রহমানসহ সুয়াবিল, মির্জাপুর, গোমানমর্দন, ধলই, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরের জুলুম-নির্যাতনের হোতা এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের রথি-মহারথিদের বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তাদের বেশিরভাগই এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এইসব রথি-মহারথিদের গ্রেফতার করে বিচার না করলে নতুন বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে।
তিনি বলেন, দেশ প্রেমিকরা দেশ থেকে পালিয়ে যায় না। দেশের জন্য তারা নিজেদের উৎসর্গ করে গেছেন। যারা শহীদ হয়েছেন তারাই তো আসল দেশপ্রেমিক। স্বৈরাচার সরকারের মধ্যে দেশের মানুষের শান্তি, স্বস্তি তাদের মধ্যে ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকলুট করা। অপরাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে লুটেপুটে খাওয়া।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের আগেই শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান। পলাতক সরকার বলেছিল মেট্রোরেল ঠিক করতে ২০০ কোটি টাকা লাগবে। অথচ অন্তবর্তী সরকার ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় পুণঃসংস্কার করে ফেলেছে। শুধুমাত্র পাঁচটি পরিবার পাচার করেছে ২ লাখ কোটি টাকা। গত ১৭ বছর ধরে তাফসির মাহফিল করতে দেয়নি। বাংলাদেশ থেকে তাহজুদ তামাদ্দুন মুছে দেয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে পৌত্তলিকতার চেতনায় গড়ে তুলেছিল। এদেশ কোনো নেতার দেশ নয়। এদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। এরাই ঠিক করবে দেশের শাসনভার কারা গ্রহণ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্পর্শ করেনি। এমন কোনো অনুভূতি নেই, যা তিনি অনুভব করেননি। ব্যবহারিক, আধ্যাত্মিক, ইহলৌকিক, পারলৌকিক- সব কিছুই তার জীবন ও সাধনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ফলে তার জীবনাদর্শ সর্বকালের সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। জীবন পথের আলোর মশাল ও দিকনির্দেশনা স্বরূপ।