মো. ছাইদুল্লাহ, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ারের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আড়াইবাড়ি ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম, কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের স্বপন।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শিবলী নোমানী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কসবা উপজেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মরণসভায় শহীদ সন্তানের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আহমেদ খান বলেন, জোবায়ের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার সন্তানের মত অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা ছিল। আর সেজন্যই সে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার আদেশ দেয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জন্য তাকে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
আন্দোলনে শহীদ জোবায়ের ওমরের বাড়ি কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে। সে বাংলাদেশ প্রফেসনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি(অনার্স) ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলো। সে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও আন্দোলনে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামের একিন আলীর ছেলে আল আমিন তার আহত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। সে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও প্রশাসনের নির্মমতার কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।