
মো. আব্দুল্লাহ আনন্দ, কাউনিয়া (রংপুর): রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বল্লভবিষু মোল্লাপাড়া গ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি মামলার সাক্ষী হওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক আহত করা হয়েছে।
আহত সাইফুল ইসলামকে কাউনিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালের বেডে বুকের ব্যাথায় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কাউনিয়ার জিন্নাহ চম্পা ফাউন্ডেশন হল রুমে সাংবাদিক সন্মেলনে মামলার বাদী শরিফা বেগমের স্বামী আশরাফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার বল্লভবিষু গ্রামের বাসিন্দা আমার স্ত্রী শরিফা বেগম ও মো. স্বপন মিয়ার পুত্রের মধ্যে নারী শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৯৮/২৩ নং ১টি মামলা সংশ্লিষ্ট রংপুর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখিত মামলায় একই এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম কে আমরা সাক্ষী নির্বাচিত করি । এ কারণে ১নং বিবাদী মো. স্বপন মিয়া (২৪) গং ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সাইফুল ইসলাম বেইলি ব্রিজ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বল্লভবিষু বাজারস্থ তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে উল্লেখিত নারী শিশু নির্যাতন মামলার আসামি মো. স্বপন মিয়ার হুকুমে ১০/১২ জনের একটি ভারাটিয়া দল তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমির উদ্দিনের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হিটলারসহ আক্রমণ করে। সাইফুল ইসলামের গলা চিপে ধরে ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক কিল ঘুষি ও নানা কৌশলে মারধর করে। সে সময়ে সাথে থাকা বাটন মোবাইল লুঙ্গিতে মোড়ানো পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সাইফুল ইসলামের চিৎকারে পাশের বাড়ির এক মহিলা ঘটনা দেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে কাউনিয়া থানার একদল পুলিশ এসে মুমূর্ষ অবস্থায় সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১১/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।কাউনিয়া থানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করার আশ্বাস দিয়েছেন।