বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালকিনিতে বোমা বানাতে গিয়ে ৪ জন আহত

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনিতে হাতবোমা বিষ্ফোরনের ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঠেংগামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো দক্ষিণ ঠেংগামারার গনি বেপারীর ছেলে আমিন বেপারী (৩৫), রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে লিপু হাওলাদার (২৮), মজিবর বেপারীর ছেলে মস্তফা বেপারী (৩৮) ও রহিম হাওলাদারের ছেলে আসিফ হাওলাদার (২৭)।আহতদের চিকিৎসার জন্য গোপনে বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার একই এলাকা হতে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ টি হাতবোমা উদ্ধার করে।

এলাকাবাসীর ধারণা, পুলিশ বোমা নিয়ে যাওয়ার পরে নতুন করে বোমা বানাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে আহতের স্বজনদের দাবি বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়েছে।

জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের একটি পরিত্যক্ত ঘর হতে বৃহস্পতিবার ১২টি হাত বোমা উদ্ধার করে কালকিনি থানা পুলিশ।তবে ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ বোমা নিয়ে যাওয়ায় পরদিন শুক্রবার সকালে একই এলাকায় অলিল কমিশনারের ভাই রহিম হাওলাদারের ঘরে বসে নতুন বোমা বানাতে গিয়ে বোমা বিষ্ফোরণে ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে আহতদের স্বজনদের দাবি সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বোমা বিষ্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একব্যক্তি জানান, স্থানীয় অলিল হাওলাদার ও খলিল হাওলাদার এই দুই গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্বে লিপ্ত। দুই গ্রুপই বোমা তৈরি করে। এরা প্রায়ই এলাকায় বোমাবাজি করে নিজেদের আধিপত্য জানান দেয়। এতে গ্রামের সাধারণ জনগণের মাঝে সবসময়ই বোমার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা এলাকার মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় খলিল হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগ নেতা অলিল হাওলাদার আমার লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ এসে তাদের লোকজনের বাড়ি হতে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকালে নতুন করে তারা আবার বোমা বানাতে গিয়ে সেই বোমা বিষ্ফোরণে তাদের ৪ জন আহত হয়। আহতদের বরিশাল মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আহতের স্বজনেরা জানায়, সকালে বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়েছে। প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, বৃহস্পতিবার ১২টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ঐ বিষয়ে তদন্ত চলছে। শুক্রবার বিষ্ফোরণের ঘটনা তদন্ত শেষে বলা যাবে সিলিন্ডার নাকি বোমা বিষ্ফোরণ হয়েছে। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ