বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সিদ্ধান্তের ২২ বছর পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিরাপত্তায় মহানগর পুলিশের অধীনে চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র হচ্ছে, যার প্রথমটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচরের তদন্ত কেন্দ্রের কাজ শেষ। আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার এ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। এরপর ২০০২ সালে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে দুটি করে চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙাদিয়া, নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গায় এসব নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয় সে সময়। প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন উপ পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ৩৮ জন করে মোট চারটি ফাঁড়িতে ১৫২ জনের জনবল কাঠামোও সৃষ্টি করা হয় ২০০৪ সালে।
কিন্তু এরপর সিদ্ধান্তটি ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে থাকে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নৌ পুলিশ।
বছর চারেক আগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পক্ষ থেকে নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের অগ্রগতি জানতে ফাইল নাড়াচাড়া শুরু হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঙ্গারচরে নদীর কাছে জায়গা বরাদ্দ করে।
উপ-কমিশনার মোস্তাইন হোসাইন বলেন, ডাঙ্গারচরে তদন্ত কেন্দ্রের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে দুই তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
“সম্প্রতি নগরীর চাক্তাই এলাকায় মেরিনার্স সড়কের পাশে আরও একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গাদিয়া ও গুপ্তখাল এলাকার জায়গা পাওয়ার জন্য কাজ চলছে।”
এসব তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্ব কী হবে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করবে সিএমপি। তদন্ত কেন্দ্রগুলো তাদের আওতায় থাকা এলাকায় টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”