
শাহ ইমরান, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চকবাজারের চিনির সিন্ডিকেট হচ্ছে সবচেয়ে বড় সক্রিয় সিন্ডিকেট । এই সিন্ডিকেটেরা কম দামে ক্রয় করে বাজারে বেশি মূল্যে বিক্রয় করছে চিনি।
কুমিল্লায় দামের তোয়াক্কা না করে ক্রেতাদের জিম্মি করে,অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে, ৮ থেকে ১০ ব্যক্তির সিন্ডিকেট। এখন এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে কুমিল্লার চিনির বাজার।
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কর্তা ব্যক্তিদের ভূমিকা কথা উঠছে।এদের মধ্যে পাইকারি অনেক ব্যবসায়ীরা অধিক মূল্যে বিক্রি করছে চিনি।
চকবাজার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কুমিল্লায় চিনির বাজার ‘আগুনে’র মতো উত্তপ্ত বলে অনুভূত হচ্ছে। উন্মাদের হাতে আগুন যেমন।তেমনি কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী গুদামজাত করে বিক্রয় করছে চিনি। এর জন্য বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে চিনির বাজার।
আমাদের এখানে কিছু অসাধু সিন্ডিকেটের হাতে দুর্বৃত্তপনা তথা অপরাধের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তাদের ইচ্ছা-খুশির বলি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের বাজারের প্রতিটি জিনিসের- চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা থেকে শাকসবজি পর্যন্ত মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এই অসাধু অপরাধী সিন্ডিকেট শুধু জনগণকেই নয়, জিম্মি করে ফেলছে সরকারকেও। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতারিত করছে সবাইকে।
রাতের আঁধারে বাজারে ট্রাকে ট্রাকে চিনি প্রবেশ করে বেশি দামে বিক্রি শুরু হয়ে। সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তারা পড়েছেন সেই সিন্ডিকেট কসাইদের হাতে।
এদের সেই অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে সরকারের পক্ষ থেকে চিনির দাম বেঁধে দেয়ার পরও সেটা তারা মানেনি। তারা যে সেটা মানবে না এর আগেও তার নজির রয়েছে।
প্রশাসনকে ব্যবস্থাকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসাধুরা তাদের জনস্বার্থবিরোধী অসাধু তৎপরতা তথা মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
সচেতন পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ব্যবসায়ীরা বলেন, যারা অন্যায্য ও অন্যায় দামে চিনি বিক্রি করে মুনাফা লুটেছে তারা। এই অর্থলোভী অমানুষদের কারসাজি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এদের বয়কট ও ঘৃণা করার সময় এসেছে।
এদের হাত থেকে দেশের মানুষকে, দেশকে বাঁচাতে হবে। এদের শায়েস্তা করা না গেলে সংকট কাটিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। আমাদের সব অর্জনকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে এদের সীমাহীন অর্থলালসা। কারণ এদের চিন্তায়- সব দ্রব্যের মূল্য আছে, কেবল মানুষেরই দাম নেই।
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারণে দাম বেড়েছে। তাই দ্রুত বাজার মনিটরিং করা হলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে। আর বাজারে চিনির দাম স্বাভাবিকে চলে আসবে। চিনির দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য বাজার মানটরিংয়ের পাশাপাশি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সকলেই।
এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারণে চিনির বাজার বৃদ্ধি। তাই বাজার মনিটরিং করা হলে দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিন আগে প্রতি কেজির দাম ছিলো ৮০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ ও শ্রমিক শ্রেনীর নিম্নবিত্তের মানুষ। বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
স্থানীয় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ানো হয়েছে তদারকি ও বাজার মনিটরিং।












