
এস কে আশিক, নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংঙ্গরা বাজার থানায় বসতবাড়ি থেকে সড়কে ওঠার রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের আহত ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন– খৈয়াখালী গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন ও তাঁর প্রবাসী দুই ছেলে সাদ্দাম হোসেন, রাব্বুল হাসান এবং একই পরিবারের সাজু মিয়ার ছেলে নাসির মিয়া, জাবেদ মিয়া, খায়ের মিয়া, হাসান মিয়া ও আনিস মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানা যায় খৈয়াখালী গ্রামের আমির হোসেন ও তাঁর ভাই সাজু মিয়ার পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। অনেকবার সালিশ বৈঠক করে তাদের বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে বসতবাড়ি থেকে সড়কে ওঠার রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকা নিয়ে মোসলেম মিয়ার দোকানে আমির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও সাজু মিয়ার ছেলে হাসানের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে রাত ৮টার দিকে সাজু মিয়ার পরিবারের অন্য সদস্যরা আমির হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে গুরুতর জখম হন আমির হোসেন। এ সময় তাঁর প্রবাসী দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
আহত সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রবাসে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে তাদের পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়টি তাঁর বাবার বড় ভাই সাজু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা ভালো চোখে দেখেন না। সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে সামান্য বৃষ্টির পানি জমে থাকা নিয়ে বাড়িতে হামলা এবং লুটপাট করে তারা। বসতঘরগুলো এমনভাবে কুপিয়েছে, সেটি এখন থাকার উপযোগী নয়।
আহত নাসির মিয়ার ভাষ্য, বসতবাড়ি থেকে সড়কে উঠার রাস্তাটি আমির হোসেনের পরিবারের প্রয়োজন হয় না। তাই রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও সেখানে মাটি ফেলে উঁচু করার জন্য টাকা চাওয়ায় হামলা করেছে আমির হোসেনের পরিবার।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি জানতে পারেন তারা। পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি।