
জিয়াউল হক খোকন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় গত সোমবার সকাল ১০.৩০ টার দিকে শহরের হাউজিং এস্টেট ডি-ব্লকের ২৮৫ নং (৬ষ্ট তলা) ভবনের ২য় তলা থেকে স্কুল শিক্ষিকা রোকশানা খানম রুনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মরদেহ উদ্ধারের একদিনের মধ্যেই হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘাতক ওই স্কুল শিক্ষিকারই আপন ভাতিজা।সে তাঁর মাথায় শিল (নোড়া) দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
নিহত স্কুল শিক্ষিকা রোকসানা খানম রুনা(৫২)।তিনি কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) ছিলেন।ঘাতক তাঁরই (রুনা) আপন ছোটভাইয়ের ছেলে নওরোজ কবির নিশাত (১৯)।
জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা রুনা নিঃসন্তান ছিলেন।এজন্য তিনি তাঁরই আপন ছোটভাইয়ের ছেলে নওরোজ কবির নিশাতকে পরম আদরযত্নে লালনপালন করেন।কিন্তু সঙ্গদোষে সে মাদকাসক্ত ও জুয়ায় জড়িয়ে পড়ে।মাদক ও জুয়ার টাকার জন্যই সে তার পালক আপন ফুপুকে হত্যা করে।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, শিল (নোড়া) দিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই স্কুল শিক্ষিকা রোকসানা খানম রুনাকে। কোলেপিঠে করে মানুষ করা সেই ছেলেটিই হত্যা করেছে তাঁকে। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। এজন্য ভাইয়ের ছেলেকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছিলেন। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে ছেলেটা তার মোটরসাইকেলটি বিক্রয় করে দেয়।এবিষয়ে বললে ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা করে।ঘাতক নওরোজ কবির নিশাত গাঁজায় আসক্ত ছিলো।
তিনি আরও জানান, নওরোজ কবির নিশাত আগে থেকেই স্টোর রুমের মধ্যে লুকিয়ে ছিলো।রোকশানা খানম ঘুমিয়ে পড়লে ঘাতক নিশাত মশলা বাটা শিল(নোড়া) দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে হত্যায় ব্যবহৃত শিলটি (নোড়া) ঘাতক নিশাতের দেখিয়ে দেওয়া লিফটের জন্য রাখা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য,সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে বাদ এশা হাউজিং ডি-ব্লকের তাঁর নিজ বাসভবনে নামাজে জানাজা শেষে হাউজিং পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানা যায় ।