
জিয়াউল হক খোকন, নিজেস্ব প্রতিনিধি: দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধে আব্দুর রহিম নামে সাবেক গ্রামীন ব্যাংকের কেন্দ্র ব্যবস্থাপককে (বরখাস্তকৃত) পৃথক দুটি ধারায় ৬ ও ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ লাখ ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ১০ ও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার হরিনারায়নপুর শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বুলুপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর হইতে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত আব্দুর রহিম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার হরিনারায়নপুর শাখার গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন গ্রহীতার কাছ থেকে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ২ শত ৪ টাকা আদায় করেন। তৎকালীন সময়ে আব্দুর রহিম ওই ব্যাংকের কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিকট টাকা হস্তান্তর না করে অবৈধভাবে নিজেই আত্মসাৎ করেন।
এই অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কুষ্টিয়ার তৎকালীন উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল। মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পরে আদালতে ওই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালতে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রায় ঘোষণা দিন ধার্য করেন। এরপর নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিকে শাস্তির আদেশ দেন।
দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু বলেন, আসামি আব্দুর রহিমকে পেনাল কোডের ৪০৯ ধারাধীনে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করার অপরাধে এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাধীনে অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে প্রথম ধারায় ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয় ধারায় ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।