
আলমগীর হোসেন, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধে এক শিক্ষক পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষকের বসতবাড়ির নির্মাণ কাজ।
মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধে ভরতভায়না গ্রামের শিক্ষক শেখ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ভরতভায়না গ্রামের গ্রামের মৃত আব্বাজ শেখের দুই ছেলে আবুল বাশার ও আবু জাফরের কাছ থেকে নামপত্তন ও দখল শর্তে ৩ শতক জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। চলতি বছরের মে মাসে বসতবাড়ির আরও একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করি। এ সময় একই গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে সেলিম আক্তার খান ওই জমি আদর্শ দিশারী সংস্থার দাবি করে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৯ এপ্রিল সেলিম আক্তার খান আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করে। তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশ দেন। গত ১২ ও ২৩ মে শুনানী অন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই মর্মে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এতে সুবিধা না পেয়ে সেলিম আক্তার খান আমাকে হয়রানি করতে যশোর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। যার নং- জি-৬১৫/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেশবপুর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ প্রকৃত দখলদার নিশ্চিৎ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। ওসির নির্দেশে থানার দারোগা শামিম হোসেন আমার বস্তবাড়ির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ঘরের নির্মাণ কাজ। আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছে।
শিক্ষক কামরুজ্জামান অভিযোগ করেন, বর্তমান আদর্শ দিশারী সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই। আমার বসতবাড়ির জমিও ওই সংস্থার নয়। এরপরও যখনই ঘর নির্মাণ করতে যাই সেলিম আক্তার খান ক্ষতিসাধনসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এতে আমি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেলিম আক্তারের একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।