যায়যায় কাল প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে হত্যা ও নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় আড়াইশর বেশি মামলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার জানান, ঢাকা মহানগরীর ৫০ থানায় ২৬৪টি মামলা হয়েছে; এর মধ্যে হত্যা মামলার ৫৩টি।
আরো ৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এসব মামলায় ২ হাজার ৮৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেককে রিমান্ডে আনা হয়েছে। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। তাদের দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে না জানিয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, যারা নাশকতার সাথে জড়িত শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ‘কোনো বিরোধ নেই’ এবং তাদের ব্যাপারে পুলিশ অত্যন্ত ‘সংবেদনশীল’ বলেও ভাষ্য এই কর্মকর্তার। ভিডিও দেখে প্রকৃত নাশকতাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে নাশকতাকারী। যারা মেট্রোরেলে আগুন দিয়েছে, যারা সেতুভবনে আগুন দিয়েছে, বিটিভিতে আগুন দিয়েছে সেই জামাত শিবির চক্র, বিএনপির সন্ত্রাসী।
রিমান্ডে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে দেখে ব্লকরেইডসহ বিভিন্ন অভিযান চলছে বলেও জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার।
এসব মামলার বাদী কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু করেছে সরকার পক্ষ আর কিছু মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
প্রতিটি মামলা পুলিশ কমিশনার সরাসরি তদারকি করছেন বলেও জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে ১৮ জুলাই থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর জনজীবন। একের পর এক হতাহতের ঘটনা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চলানোয় উদ্বেগ ছড়ায়।
এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা দেড়শ।