
মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) এম এন মোর্শেদ বলেছেন, খালি হাতে এসেছি খালি হাতেই যেতে চাই। সুনামগঞ্জ’র থানাকে একটি রোল মডেল হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করে যেতে চাই। সবগুলো থানা সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকবে। সুনামগঞ্জ’র আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জকে আইনশৃঙ্খলায় একটি স্মার্ট জেলায় রূপান্তরিত করার জন্য যত ধরণের পদক্ষেপ নেয়া দরকার সবই করা হবে। সুনামগঞ্জ হবে ৬৪ জেলার রোল মডেল।
চোরাচালান, মাদক, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকেই অনুসরণ করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন তিনি। জুয়ার কারণে একটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। মাদকের কারণে একটি ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার সকাল ১১ টায় পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে মিট দ্য পুলিশ কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ৮ তারিখ (৮ জুলাই) সুনামগঞ্জ’র পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেই আব্দুজ জহুর সেতু ও রাণীগঞ্জ সেতুসহ অনেকগুলো নৌপথে চাঁদাবাজির বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। বিট পুলিশিং সেবাকে মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ দুর্গম এলাকা হওয়ায় এবং পানি থাকায় অনেক জায়গায় যাওয়া হয় না। তবে প্রতি মাসে একবার অবশ্যই যাব।
পুলিশ সুপার (এসপি) এম এন মোর্শেদ বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একত্রিত হয়ে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হবে। পর্যটনসহ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাবে সুনামগঞ্জ। পুলিশ জনগণের সেবক, আপনারা সাংবাদিক এই জেলায় চিরদিন আপনারাই থাকবেন, আামরা চাকরির সুবাদে আসবো, আবার চলে যাবো। সাংবাদিকরাই সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো তুলে ধরেন৷ সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পণ। যে বিষয় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়, শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে, সেই বিষয়ে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শান্তিপ্রিয় জেলা হিসেবে অনেক সুনাম রয়েছে এই জেলার। গত এক দেড় বছর ধরে সুনামগঞ্জে চোরাচালান বেড়েছে শুনেছি। সেই পরিবেশ পরিস্থিতি যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেদিকে পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকবে। আইনশৃঙ্খলাকে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করবে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ। আমি চলে গেলেও যেনো হতদরিদ্র মানুষ আমাকে মনে করেন। আমি তাদের দোয়া নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু সাঈদ , পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রাজন কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহিদুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী।
এ সময় সুনামগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।