
মো. রিপন মিয়া, ফুলছড়ি(গাইবান্ধা): গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় খাস জমি দখল করে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উক্ত জমির মালিকেরা।
জমির মালিক জহুরুল হক ভান্ডারী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি ওয়াল সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে (সোনালী ব্যাংকের সামনে) বুড়াইল মৌজার ৫২৩৪ দাগের জমিটি ভুলবশত ১ নং খাস খতিয়ানে ২ শতাংশ জমি অন্তর্ভুক্ত হয়। যা বিআরএস রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের নামে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত।
তিনি বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে ২ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে থাকায় আমরা ফুলছড়ি সহকারী জজ আদালতে মামলা করে রায় পেয়েছি। রায় পাওয়ার আগে আমরা উক্ত জায়গায় ভবন করতে গেলে প্রশাসন বাধা দেয়। তাই দীর্ঘদিন কাজটি বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা সময়ের মধ্যে আমরা কোর্টের মাধ্যমে আমাদের ক্রয়কৃত জমিটির পক্ষে আদালত তিনটি ডিক্রি প্রদান করেন। গত ৩১ আগস্ট মো. নাহিদুজ্জামান নিশাদ আমার কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিয়ে বিএনপির অফিস করে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু লোক লেখালেখি করলে সেটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে জানিয়ে দিতে চাই খাস খতিয়ানভুক্ত জমিটি আমাদের। এ জমি নিয়ে যদি কেউ বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।