আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম উত্তর : উজানের ঢল ও কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল। ডুবে ছিলো রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ জেলার অনেক মানুষ। বন্যার প্রাদুর্ভাবে এই সব অঞ্চলে বসবাসরত মানুষনের ভিটেমাটি ও জীবন জীবিকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
চরাঞ্চলের মানুষের প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াই ও অন্তহীন দুঃখ কষ্ট কিছুটা লাঘব করার উদ্দেশ্যে খিদমাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাওলানা আবু সাঈদ এর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
বুধবার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের বন্যাকবলিত অন্তত ৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার মুড়ি, চিড়া,গুড় বিস্কুট সেলাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। এসব পেয়ে বানভাসিরা অনেক খুশি।
সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি কুড়িগ্রামের সন্তান। এখানে জন্মই যেন আমার আজন্ম পাপ। এ কথা কারও অজানা নয় যে, প্রতিবছর একাধিকবার বন্যায় আক্রান্ত হয় কুড়িগ্রাম জেলা। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্যোগের সঙ্গেই যেন বেঁচে থাকে। একবার মাথা তুলে দাঁড়ায়, আবার কোমর ভেঙে যায়। অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। যতটুকু সহায়তা পাওয়া যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজন আমাদের জেলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। কুড়িগ্রামের মানুষ কর্মসংস্থান চায়, তারা অনুদান চায় না। দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী—সবার কাছে আবেদন, আমাদের এই জেলা নিয়ে একটু ভাবুন। এ জেলার জন্য বিশেষ বাজেট দিন, বাজেটের সুষ্ঠু তদন্ত করুন, নদীতে বাঁধ দিন, নদী খনন করুন, দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবু সাঈদ, মনিরুল ইসলাম লাবিব, মো. মাইদুল ইসলাম, মো, ইসমাইল হোসেন, মো. শাহজাহান আলী সুমন, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।