শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খুলনায় নাইস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে ডায়লগ অনুষ্ঠিত

উত্তম দাস, খুলনা: “মানবাধিকার সংসকৃতি ফাউন্ডেশন” এর সহায়তায় খুলনাস্থ ‘নাইস ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হল রুমে জেলা পর্যায়ে ডায়লগ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলার মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির কনভেনার গৌরাঙ্গ নন্দী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন. বাংলাদেশ বেতার, খুলনা সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মামুন আক্তার।

সভায় খুলনা জেলার মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির সম্পাদক ও ”নাইস ফাউন্ডেশন” এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এম, মজিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার সং¯কৃতি ফাউন্ডেশন এর সহয়তায় আমরা ১০টি জেলায় ১০টি সহযোগী সংগঠন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছি। প্রকল্প সমন্বয়কারী রাবেয়া সুলতান, সারা দেশের এবং খুলনা জেলার বিগত তিন মাসের সার্বিক পরিস্থিতির তথ্য প্রদান করেন।

এরপর মানবাধিকার লংঘনের বিষয় নিয়ে এবং বাক-স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মো: টিপু সুলতান, ডেইলি স্টার এর দিপংকর রায়, এ্যাড: আয়সা খাতুন,জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদক অজন্তা দাশ, এ্যাড: মুজিবুর রহমান,এ্যাড: নুরুন্নাহার হীরা, সময় টিভির খুলনা রিপোটার বেলাল হোসেন সজল ,এ্যাড: পপি ব্যানার্জি,স্বপ্ন নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার,কো কনভেনর অধ্যাপক উত্তম দাস ও এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম।

কো-কনভেনর উত্তম দাস বলেন, শুধু নারী নয় কিছু নির্দিষ্ট জনগোষ্টি আছে যেমন –হরিজন সম্প্রদায়, মেথর,মুচি এরা যে পরিমানে মানবাধিকার ল্ঘংনের ঘটনা ঘটে যা উদ্দেগজনক। তারা বলেন বাকস্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ নাই বলেই চলে। আলোচনায় উঠে আসে ধর্ষনের হার বিগত বছরের চেয়ে বেশী। আমরা সকলে মানবাধিকার কর্মী সকলে মিলে এসকল অপরাধের থেকে জনগনকে মুক্ত করতে পুলিশ কমিশনারের কাছে বলতে পারি তাহলে আইন শৃংখলার উন্নতি হবে।

সভায় প্রধান অতিথি মো. মামুন আক্তার বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সকলেই যদি সচেতন থাকি তাহলে অপরাধের পরিমান কমে যাবে তিনি আরো বলেন, বাক স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে আমাদের রোল কি বা সংগঠন হিসেবে আমাদের কাজ কি বা কি রোল পেলে আমরা করতে পারি। ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতুদন্ড হওয়া উচিত এমন কথা বা ভাবনা আমরা মানবাধিকারকর্মী হিসাবে মনে আনতে পারি না।

সভাপতি তার বক্তবে আরো বলেন, রাষ্ট্রের উচিত জনগনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখা এবং পরিবেশ প্রদান করা যেখানে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে। ২য় পর্যায়ে একই ভেন্যুতে মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির ১৬ জন সদস্যকে নিয়ে ডিস্ট্রিকস হিউম্যান রাইটস এন্ড ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রশিক্ষন অনষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষনটি প্রদান করেন ,মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাইন্ডেশনের মো: টিপু সুলতান ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *