বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

গবেষণা ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্পদ মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী আজ সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের আয়োজিত ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ মন্তব্য করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশীয় সম্পদ মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে যা প্রকৌশল গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে। 
ড. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য দেশের মতো সমানভাবে বাংলাদেশও জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের বিকল্প সমাধান বের করতে হবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে এসডিজি অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি। এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা কামরুন নাহার ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সিয়ামুল বাশারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক এবং সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম।
নতুন সহস্রাব্দে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন ফিল্ডের আধুনিক অগ্রগতি অনুসরণ ও একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ ও স্থাপত্য’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স’, ‘কেমিক্যাল, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং’ এবং ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এ চারটি বিষয়ের উপর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের ১৯০টি নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অনুষদের এটি ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার  থেকে ১৪ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন চলবে। এতে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের গবেষণাপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে এবারের সম্মেলনে ১৯০টির বেশি গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়েছে। তিনদিনে ৪টি প্লেনারিসহ ৩৪টি টেকনিক্যাল সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৫শ’ জনের অধিক গবেষক অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এবারের সম্মেলনে নিবন্ধন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সম্মেলনে প্রবেশ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া পূর্বের সম্মেলনগুলো থেকে এবার আরো নতুন অনেক কিছু সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। 
সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আজিজুল হক জানান, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল বাস্তবায়ন, জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের সমাধান, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জনের জন্য টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সর্বশেষ উন্নয়ন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সমাবেশে বিভিন্ন গবেষকরা আলোচনা করবেন। ‘এতে আমাদের তরুণ স্নাতক, শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি নিয়োজিত হতে উৎসাহিত করবে। যা জাতীয় উন্নয়নের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশে শিল্প আর একাডেমিক সংযোগের বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমরা এই বছর শিল্প বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা এবং গবেষকদের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছি। 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ