নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় তদারকির অভাবে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মুখ থুবড়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুল নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেয়ায় কারন দর্শানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার সাত আনা নওদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিগদার ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাতুরী ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ২ ডিসেম্বর নির্ধারিত সময়ের আগে বিকাল ৩টা থেকে সোয়া ৩টায় ছুটি দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিূদারী ইউনিয়নের গিদারী কৃষ্ণচুড়া (পুরাতন পচাঁরকুড়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও গত ৩ ডিসেম্বর সোয়া ৩ টায় এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের বর্মন ডিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও গত ৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেয়া হয়। যা সরকারি কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিতি বিধিমালা ২০১৯ ও সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষকদের অদক্ষতা, খামখেয়ালিপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে হোম ভিজিট না করায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে কম। স্লিপসহ অন্যন্য প্রকল্পের টাকারও সঠিক কাজ না করে নয় ছয় করা হয়েছে বলে জানা যায়।
তাই তিন উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকদের কেন বেতন কর্তনসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে না মর্মে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে কারণ দর্শানো হয়েছে।