নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগন্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হলহলিয়া ব্রীজ থেকে পুর্বদিকে ঝিনিয়া বাজার পর্যন্ত শুরু হয়েছে রাস্তা পাকাকরনের কাজ। এ কাজে ফেলানো হয়েছে মাটি মিশ্রিত ভাটা থেকে রাবিশ ও নিম্নমানের ইটের বড় খোয়া। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট এসও মাহবুব এর নিকট অভিযোগ করেও মেলেনি কোন প্রতিকার। বরং ঠিকাদার কর্তৃক ভয়-ভীতি ও হুমকিতে তারা দিশেহারা। অন্যদিকে রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে শংকিত ভুক্তভোগী এলাকার সর্বসাধারণ।
তত্বানুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী জানান,হলহলিয়া ব্রীজ থেকে পুর্ব দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের লক্ষ্যে বেজ করার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ৩ /২ নং ইটের খোয়ার সাথে ভাটার রাবিশ /মাটি মিশ্রণ করে রাস্তায় দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এসও মাহবুব এবং ঠিকাদারকে অবহিত করা হলে তারা এ পচাঁ খোয়া অপসারন না করে নানা রকম ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকী দেন।
অন্যদিকে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফুটবল খেলার মাঠ হতে পুর্ব দিকে কোরবান ফকিরের বাড়ী পর্যন্ত এবং বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্য কোমদপুর জামে মসজিদ হতে দক্ষিণে বল্লমঝাড় বাজার পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা মানছেন না এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের কোন দিক নিদর্শনা। মনগড়া যেনতেন ভাবে অত্যান্ত নিম্নমানের খোঁয়া দিচ্ছেন রাস্তা গুলিতে। ফলে পাকা করনের কিছু দিনের মধ্যেই এর স্থায়ীত্ব নষ্ট হওয়ার আশংকাই বেশি বলে মনে করছেন সচেতন মহল। বিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন,,, নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আদৌ কি ব্যবস্থা নিবেন এ সবাই অনিয়ম -দুনীর্তির। তারা অভিযোগকারীদের উপস্থিতিতে ল্যাব তেষ্টের জোর দাবী জানাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ছাবিউল ইসলামকে অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান
যায়যায়কাল/এমএমআই