বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় অ্যাম্বুলেন্স বহরের উপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার গাজায় অ্যাম্বুলেন্সের একটি বহরকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এই হামলায় ১৫ জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
পিআরসিএস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের প্রবেশদ্বার থেকে প্রায় দুই মিটার দূরে ‘ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে।’
হামলার ফলে ১৫ জন বেসামরিক লোক মারা যায় এবং ৬০ জন আহত হয়।  
হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার টার্গেট করা হয়। এতে অনেক আহত এবং অ্যাম্বুলেন্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের অংশ পিআরসিএস বলেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে মেডিকেল দলগুলোকে টার্গেট করা ‘জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন, একটি যুদ্ধাপরাধ’।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘একটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। হামাসের সশ¯্র গ্রুপের অবস্থানের কাছাকাছি এই হামলা চালানো হয়।’
হামলার ঘটনাস্থলে এএফপি’র এক সাংবাদিক হাসপাতালের বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্সের পাশে একাধিক মৃতদেহ দেখেছেন। সেখানে ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে বেঁেচ যাওয়া বেসামরিক নাগরিক এবং আহতদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
হামাস সরকার বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহর থেকে ভূখন্ডের দক্ষিণে রাফাহ অভিমুখে ‘আহতদের নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সের একটি বহরে আঘাত হেনেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ‘গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে হামলার খবরে তিনি খুবই মর্মাহত। হামলায় মৃত্যু, আহত এবং ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, ‘আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি: রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, সুবিধা এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখতে হবে।’ ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর জন্য জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস রোগীদের নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার জন্য সরিয়ে নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে হামলায় ঘটনায় ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করেছেন।
ডব্লিউএইচও জানায়, আল-শিফা হাসপাতালের শয্যা দখলের হার ১৬৪ শতাংশ যা বুধবার জেনারেটরের জন্য জ্বালানীর ঘাটতি রোগীদের ‘অবিলম্বে জীবন ঝুঁকিতে’ বলে সতর্ক করেছিল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ধর্মঘটের কারণে ক্ষতি এবং জ্বালানির অভাবের কারণে গাজা জুড়ে প্রায় ১৬টি হাসপাতাল আর কাজ করছে না।
চার সপ্তাহের যুদ্ধে গাজা জুড়ে ২৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৯,২০০ ছাড়িয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ