বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে ফটোগ্রাফার খুনের ঘটনায় মুল পরিকল্পনাকারী সহ গ্রেফতার ৫

বশির আলমামুন,  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরের চাদগাঁও থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকায় শাওন বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায় শাওন বড়ুয়া নামের এক ফটোগ্রাফারের ডিজিটাল ক্যামেরা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটেন পাঁচ ছিনতাইকারী। পরে পরিকল্পানা মতো তারা শাওনকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

তারা ভেবেছিল, নির্জনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, থাকবে না কোনো লোকসমাগম। কেউ কোন কিছু জানতে পারবেও না।

শাওনকে হত্যা করে ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে গেছে ঠিকই। কিন্তু ভুলে রেখে গেছে শাওনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি। সেই মুঠোফোন দিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত করেন নগরের চাদগাঁও থানার তিন পুলিশ অফিসার।

জানা গেছে, নগরের চাদগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ইমন ও তৌহিদ।

অন্যজনের হয়ে তারা বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। পরে তাদের একটি ডিজিটাল ক্যামেরার শখ জাগে। বিষয়টি তারা এলাকার বড় ভাই বাহারকে জানায়। বাহারসহ মিলে তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ফন্দি আঁটেন। সেখানে তারা যুক্ত করে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলমগীর ও মুরাদকে। তারা প্রথমে কয়েকটি ফেসবুক পেইজে বিয়ে বাড়িতে ফটোসেশান করার জন্য যোগাযোগ করেন। অনেকেই তাদের সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে জনি বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার সাড়া দেন। তিনি শাউন বড়ুয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।  

তিনি জানান, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের কথা বলে শাওকে বেপারি পাড়ার ভাঙা পুলের মাথায় আসতে বলেন। সেখানে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ইমন, তৌহিদ ও চালক আলমগীর অপেক্ষায় থাকেন। মুরাদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহির সিগন্যাল ম্যাফ সুজ গার্মেন্টসের সামনে থেকে শাওন বড়ুয়াকে রিসিভ করে নিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে অপেক্ষায় থাকা সিএনজি অটোরিকশার দিকে না গিয়ে অন্যদিকে চলে যায় মুরাদ। পরে বিষয়টি শাওন আঁচ করতে পারলে মোটরসাইকেলের মধ্যে দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ শাওনের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। পরে শাউন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সুযোগে মুরাদ একের পর এক শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ছুরিকাঘাত করেন।  

পরে মুরাদ বিষয়টি বাহারকে জানিয়ে দিয়ে বলে, ভাই আমি শাওনে মেরে ফেলেছি। তখন বাহার এসে ক্যামেরাসহ মুরাদকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু রেখে যায় শাওনের মুঠোফোনটি। সেই মুঠোফোনের সূত্র ধরে ওই পাঁচ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে চাদগাঁও থানা পুলিশের এসআই ফয়সাল আজিজ, সোহেল রহমান রানা ও রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ