ইব্রাহিম খলিল মঞ্জু, চন্দ্রগঞ্জ: লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে থাকা রহমতখালী খালের ওপরের ব্রিজটি ধসে পড়েছে। ফলে কলেজের শিক্ষার্থী এবং আশপাশের ছয় গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
ধসে পড়া ব্রিজের স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
স্থানীয় আলতাফ হোসেন, নুর হোসেন হারুন, সফিকসহ অনেকে জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে রহমতখালী খালের ওপর ত্রাণ ও পূণর্বাসন অধিদপ্তর থেকে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
১৯ মিটার দৈর্ঘের ব্রিজটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। বর্ষার শুরু থেকেই রহমতখালী খালে তীব্র স্রোত বয়ে চলে।
সাম্প্রতিক বন্যায় স্রোতের গতি আরও বেড়ে যায়। স্রোতের তোড়ে পুরোনো ব্রিজটির ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে।
এছাড়া ব্রিজের দক্ষিণ অংশের মাটি সরে যায়। হঠাৎ ব্রিজের দক্ষিণাংশ সড়কসহ ব্রিজটির মাঝামাঝি পর্যন্ত ধসে পড়ে। এতে অনেকটাই চলাচল বন্ধ হয়ে যায় লাখো মানুষের।
তারা আরও জানান, ব্রিজের উত্তর পাশে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক, দক্ষিণ পাশে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। কলেজের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এ ব্রিজ দিয়ে কলেজে যাতায়াত করেন। এছাড়া দক্ষিণ পাশের ছয় গ্রামের মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করেন।
তারা বলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর, চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতেন এ ব্রিজ দিয়ে। বর্তমানে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। আশপাশের নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা এখন ঝুঁকি নিয়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে খাল পার হচ্ছেন।
কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্রিজটি ধসে পড়ায় উত্তর অংশের শিক্ষার্থীরা কলেজে আসতে পারছে না। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, রহমতখালী খালে তীব্র স্রোতে ব্রিজটি ধসে পড়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় এখানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও সাময়িক চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।