শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে আমড়া খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মোফাসসের হোসেন ইমনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইমন পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভিকটিমের মামা বাদল বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট (শনিবার) সকালে প্রতিবেশী তোসলিম উদ্দীনের ছেলে মোফাসসের হোসেন ইমন ভিকটিমকে আমড়া খাওয়ানোর কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ঘরে তালা মেরে চলে যায়।
ভিকটিমের মা জানান, আমার এক আত্মীয় মারা যান। তাকে দেখতে গিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে যাই। ফিরে এসে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রতিবেশী ইমনের ঘরে তালা দেয়া অবস্থায় আমার মেয়েকে পাই। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে আমার কাছে দিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মা আরও জানান, আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ইমন আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে আমার মেয়েকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম জলি মহানন্দা নদীতে পড়ে মারা গেছে। অনেক খুঁজেও না পেয়ে প্রতিবেশীদের ঘরে খোঁজা শুরু করি। তখন তোসলিম উদ্দীনের বাড়ি তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে কয়েকজন শিশু জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে জলি অচেতন অবস্থায় ইমনের বিছানায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ভিকটিমের মামা বাদল হোসেন ও প্রতিবেশী লাইলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ইমনের চাচা ইয়াসিন আলী পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। তার প্রভাব খাটিয়ে তারা এলাকায় নানা অপকর্ম চালায়। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধে তারা জড়িত। কেউ প্রতিবাদ করলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঘটনার এজাহার পেয়েছি। আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
