
আলমগীর হোসেন হিরু, চাটখিল(নোয়াখালী) : ঐতিহ্যবাহী বিরন্দ্র ও মহেন্দ্র খালের চাটখিল-সোনাইমুড়ী অংশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা এবং বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণের ফলে এই খালের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।
অজ্ঞাত কারণে খালটি সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় এবং খালের পাড়ে হাট বাজার এলাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভারি বৃষ্টিপাত হলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, চাটখিলের দশঘরিয়া, মুন্সিরাস্তা, ১১নং পোলের গোড়া, চাটখিল পৌর বাজার, হালিমা দিঘীর এবং সোনাইমুড়ীর বাংলা বাজার ও নদনা সহ বিভিন্ন বাজার অংশে বহু দোকান পাটসহ স্থাপনা গড়ে উঠে এবং বিভিন্ন স্থানে খালে বাদ নির্মাণ করে অবৈধভাবে বাড়ির রাস্তা তৈরি করা হয়।
এতে করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষায় ভারি বৃষ্টিপাতে জলবদ্ধতা তৈরি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাল পাড়ের বাজারগুলোতে জেলা পরিষদ থেকে লিজ এনে দোকানপাট গড়ে তোলে। পাশাপশি অবৈধভাবে পাড় ও খাল দখল করে বহু দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
চাটখিল পৌর বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা খালের উপর নির্মিত পোলের নিচে ও খালে ময়লা-আবর্জনা পেলে খালটির পানি চলাচলা বন্ধ করে রেখেছে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। বর্ষায় প্রায় প্রতি বছর জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
চাটখিল থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত খালের উপর যেভাবে অবৈধ ভাবে বাড়ির রাস্তা করা হয়েছে এবং অবৈধ স্থানার কারণে পনি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অবৈধ দখল কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে খালটিতে পুনরায় পানি চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।