
আলমগীর হোসেন হিরু, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল পৌর বাজারে গতকাল সোমবার গভীর রাতে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। অগ্নি দুর্ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দীর্ঘ ৩ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে চাটখিল ফায়ার স্টেশনের ২টি গাড়ি, সোনাইমুড়ি ফায়ার স্টেশনের ১টি ও রামগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ১টি গাড়ি এবং স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১ ঘটিকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়স্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মেসার্স জেহাদ ট্রের্ডাস, মা হার্ডওয়্যার, গাজী হার্ডওয়্যার, সোলেমান ফার্মেসী, ফয়সাল ফার্মেসী, রহিম মোবাইল টেলিকম, মনির চা দোকান ও একটি ইলেকট্রনিক দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। মের্সাস জেহাদ ট্রের্ডাস এর মালিক আব্বাস উদ্দিন ও মা হার্ডওয়্যারের মালিক আলমগীর হোসেন জানান, এই র্দূঘটনায় ব্যবসায়ীদের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ কোন আহত হয়নি।
চাটখিল ফায়ার স্টেশনের অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করলে লিডার আবুল কালাম জানান, ৯৯৯ এর সংবাদের মাধ্যমে চাটখিল ফায়ার স্টেশন অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যান। পরে আগুনের পরিস্থিতি ব্যাপক দেখে পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ি ও রামগঞ্জ স্টেশন থেকে আরো দুটি গাড়ি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে বলে তিনি জানান।
চাটখিল পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাজ্জাদ বিন ইউসুফ জানান, তার বাসা ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে। তিনি আগুন জ্বলতে দেখে তাৎক্ষনিক থানার ওসি ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে অগ্নিকান্ডের সংবাদ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তার কার্যালয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে আহ্বান জানান।