
আলমগীর হোসেন হিরু, চাটখিল: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া বাজারে ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে যাত্রীর মারধরে সাইফুল ইসলাম কিরণ (৩৫) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মিজান হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার সকালে অটোচালকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কিরণ উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত মো. হানিফের ছেলে। অপরদিকে, আটক মিজান একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল হাশেম মুন্সি বাড়ির মৃত নাজির আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মিজান উপজেলার সোমপাড়া বাজারের থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসা করে। ভিকটিম অটোচালক কিরণ তার পূর্ব পরিচিত ছিল, ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে সোমপাড়া বাজার থেকে ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রী সহ সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে অটোচালক কিরণ মিজানের ভাড়া না নিয়ে সেখান থেকে অন্য যাত্রী নিয়ে উপজেলার আলীপুরে চলে যায়। সেখানে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কিরণ হঠাৎ বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ আরও জানায়, কিরণের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজনেরা মিজানের দোকানে হামলা করে তাকে মারধরের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সাথে ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এই বিষয়ে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিরণের মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ বলছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।