রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর পাইকানপাড়া গ্রামে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ রাজশাহী জেলা ডিবির হাতে গ্রেফতার হন মাদক কারবারি আলমগীর (৪০) ও তার ছেলে রুদ্র (১৬)। কিন্তু কিশোর হওয়ায় রুদ্র (১৬)’কে নগদ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেন ডিবির এসআই দাউদ-উজ জামান আকাশ।
গত শুক্রবার বিকাল ৪ টায় রাজশাহী জেলা ডিবির এসআই দাউদ-উজ জামান আকাশ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, আটক আলমগীর (৪০)’কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেন এসআই দাউদ-উজ জামান আকাশ। অন্যথায় চালান দিয়ে দিবেন বলে জানান রাজশাহী জেলা ডিবির এই অসাধু কর্মকর্তা। এরপর আটক মাদক কারবারি আলমগীরকে রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানার হেফাজতে রাখা হয়। পরের দিন আটককৃত আলমগীরের পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিকে দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল মামলায় তাকে জেল হাজতে পেরণ করা হয়।
জানা যায়, চারঘাটে এক রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন থেকেই ফেন্সিডিল ও হেরোইন এর রমরমা ব্যবসা করে আসছিলো কুখ্যাত এই মাদক কারবারি আলমগীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যক্তি জানান, মাদক কারবারি আলমগীরের বাসায় তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল ঠিক সে সময় কিছু পুলিশের লোকজন আলমগীর ও তার ছেলেকে আটক করে। পুলিশ ডিবি নাকি সাধারণ পুলিশ জানি না। তারা সিভিল ড্রেসে ছিলো। কিন্তু পুলিশের লোক অনেকক্ষণ তার বাসায় ছিলো। তারা আলমগীরের বাসায় তারা খাওয়া-দাওয়াও করেছিল। পরে দেখলাম তার ছেলে রুদ্রকে ছেড়ে দেয় এবং আলমগীরকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা ডিবির এসআই দাউদ-উজ জামান আকাশ জানান, শুক্রবার দুপুরে মোক্তারপুরের পাইকান পাড়ায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছিলাম সেখান থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আলমগীর (৪০) ও তার ছেলে রুদ্র (১৬)’কে আটক করি। যেহেতু ছেলেটি মাইনর (ছোট) তাই আমরা তাকে ছেড়ে দিই। এখানে কোনো প্রকার টাকার লেনদেন হয়নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ডিবির (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, আমার জানা মতে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আলমগীর নামের একজন আটক হয়েছিল তাকে চালান দেওয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ছেলে রুদ্র (১৬)’কে ছেড়ে দেওয়ার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই অভিযোগটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।