মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘ছাত্র আন্দোলনে থানা পুড়িয়েছি, তুই তো সামান্য সাংবাদিক’

পাভেল ইসলাম মিমুল, রাজশাহী ব্যুরো: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সকালের সংযোগ এর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল আমিন পারভেজকে তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে এসে প্রকাশ্যে হামলা করেছেন কতিপয় সন্ত্রাসী।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ প্রতিদিনের মত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন। হঠাৎ করে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এসে তার ওপর হামলা করেন।

জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা পাটার পাড়া গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান। তার ছেলে রাব্বু হোসেন রিফাতসহ বেশ কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়।

এ বিষয়ে সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ বলেন, আমার বাবা ও তার ভাইয়ের মধ্যে অনেক দিন ধরে পারিবারিক জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। আমার ছোট চাচা আবু সুফিয়ান, মেজ চাচা মো. সুলতান আলমকে স্বেচ্ছায় জমি লিখে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন থেকে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এসব দেখে আমি চুপ থাকতে পারিনি। আমার চাচা আবু সুফিয়ানকে পারিবারিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য ভালো মন্দ কিছু কথা বলেছি। এরই জের ধরে আমার উপর চাচা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি আক্রমণ শুরু করে।

এ সময় সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ান ও তার ছেলে বলেন, আমি ছাত্র আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করেছি। পুলিশের থানাও পুড়িয়েছি। সেখানে তুই সামান্য একটা সাংবাদিক তোকে আমি পানি খাওয়ার সময় দিব না। এই কথা বলার ফাঁকে সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ান প্রথমে আমার দোকানে ঢুকেই চিপসের পলিথিন দিয়ে মাথার উপর ও বুকের নিচ পর্যন্ত এনে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রুহুল আমিন অনেক শক্তি দিয়ে পলিথিন ছিড়ে নিজেকে মুক্ত করেন। আবু সুফিয়ান এর ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক রুহুলকে উদ্দেশ্য করে গরম পানির ফ্লাক্স, কাচের গ্লাস ছুড়ে মারে। অনেক কিল, ঘুষি দিলে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হলে সন্ত্রাসী বাহিনী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেই সাথে রুহুল আমিন পারভেজ কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার হুমকি প্রদান করেন।

উক্ত বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ গত রোববার জয়পুরহাট সদর থানায় একটা লিখিত সাধারণ ডায়েরী করে যাহার জিডি নং ৬৬৯।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ