বৃহস্পতিবার, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জগন্নাথপুরে আ’লীগের দোসর মজ্জিল ধরাছোঁয়ার বাইরে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিতাড়িত ফ্যাসিবাদ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের আশীর্বাদ পুষ্ট সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের মৃত বাদশাহ মিয়ার ছেলে তালিকাভুক্ত অস্ত্র কারবারি মজ্জিল এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। মজ্জিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পেশী শক্তির দাপট খাটিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করেছেন।

আওয়ামী সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দিন থেকে তার বিরুদ্বে মুখ খুলছেন জগন্নাথপুরের স্থানীয় অসহায় মানুষজন। জগন্নাথপুর থানা সহ সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর অদৃশ্য কারণে মজ্জিলকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মজ্জিল এলাকায় যত ধরনের কুকর্ম হতো সব কিছুতেই ছিল মজ্জিলের হাত। জগন্নাথপুরের প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে তার নিজস্ব বাহিনী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকার প্রতিটি বাজার ঘাট থেকে মজ্জিল তার বাহিনী দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতেন। পান থেকে চুন খসলেই সাধারণ মানুষের উপর শুরু হত মঞ্জিল বাহিনীর নির্যাতন। তিনি আওয়ামী সরকারের আমলে এলাকায় সরকারি খাস জমি-জামা সহ অবৈধভাবে অনেক ভূমি দখল করেছেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মজ্জিল অস্ত্র ব্যবসার পাশাপাশি মাদক কারবারে জড়িত ছিল। তিনি এলাকায় ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। তিনি যুব সমাজকে মাদকের দিকে ধাবিত করে বিভিন্ন মন্দ কাজ করাতেন। এছাড়াও মজ্জিলের উপর স্থানীয় থানায় রয়েছে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা। তারপরও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এ নিয়ে জগন্নাথপুর সচেতন মহল সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। মজ্জিল প্রতিনিয়ত পুলিশের নাকের ডগার উপর দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কার ইশারায় গ্রেফতার হচ্ছেন না তিনি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মজ্জিল আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে নিজেকে এলাকায় ছানী এমপি ভেবে দাপট খাটাতেন। কেউ কিছু উনার বিরুদ্ধে বললে তিনি তার লোক দিয়ে তুলে নিয়ে কনডেম সেলের মতো একটি ঘরে নির্যাতন করতেন।

স্থানীয় এক বিএনপি নেতা জানান, আমাদের মন্ত্রী মান্নান ও উনার পিএস হাসনাতের ক্ষমতা বলে মজ্জিল অবৈধভাবে অনেক টাকা কামিয়েছে। এই কালো বাজারের মহাজনের গ্রেফতারে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। মজ্জিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ মানুষকে দিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে আর্থিক মুনাফা লুট ছিল তার কাজ। চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী কেলেঙ্কারি সহ মজ্জিলের বিরুদ্ধে রয়েছে আকাশসম অভিযোগ।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ বলেন, আমি কেবল নতুন এসেছি। তার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমাকে জানালে বা যদি তার বিরুদ্ধে মামলা থাকে নিশ্চয় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *