
এস রহমান সজীব: জয়পুরহাট: অগ্রাহায়ণ মাস শুরু হয়েছে জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে প্রাণের নবান্ন উৎসব। কৃষকদের ঘরে উঠেছে নতুন ধান। পিঠা-পায়েসসহ নানা আয়োজনে মেয়ে-জামাই ও স্বজনদের নিয়ে পালিত হচ্ছে কৃষকের কাঙ্খিত প্রাণের নবান্ন উৎসব।
এ উৎসবকে ঘিরে জামাইদের নিয়ে জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের পাঁচশিরা বাজারে এক দিনের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা বসেছে জমজমাটভাবে। এদিনকে ঘিরে পাঁচশিরাতে ভোর ৬টা থেকে দিনব্যাপী চলে মাছ কেনাবেচার উৎসব।
এই দিনের অপেক্ষার প্রহর গুণেন এ উপজেলার প্রত্যন্ত এলকার লোকজন। ক্যালেন্ডার নয়, পঞ্জিকা অনুসারে অগ্রাহয়ণ মাসের প্রথম শনিবার এ প্রতিবছর বসে এ মেলা।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে নবান্ন উৎসবে প্রতি বছর এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় অংশ নেয় উপজেলার মাত্রাই, হাতিয়র, মাদারপুর, হাটশর, হারুঞ্জ, পুনট, বেগুনগ্রাম, পাঁচগ্রামসহ ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষ।
এই অনুষ্ঠান পালন করতে আসেন সারাদেশে বসবাসরত তাদের জামাই-মেয়ে, বেয়াই-বেয়ানসহ আত্মীয়-স্বজনরা। মূলত প্রতিযোগিতা করেই মেলা থেকে জামাইরা মাছ ক্রয় করে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান। তাইতো মেলার প্রতিটি দোকানে সাজানো ছিল দেশীয় জাতের বোয়াল, রুই, মৃগেল, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস, ব্রিগেট, বাঘাআইরসহ সামুদ্রিক নানা ধরনের মাছ। মেলায় বিশালাকৃতির একটি মাছ মাথার ওপর তুলে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন মাছ বিক্রেতারা। মেলায় ৩০ কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিগ্রেড ও সিলভার কার্প মাছ বেশি বিক্রি হয়েছে। রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বলছেন বাঙালি জীবন থেকে উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এ রকম উৎসবে অংশ নিতে পারলে ব্যস্ততম জীবনে কিছুটা প্রশান্তি আসে।












